খুব অল্প সময়ে বলিউডে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু তার জীবনের আলো নিভে যায় অকালেই। ২০২০ সালের ১৩ জুন (রোববার) মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। মৃত্যুর পর তার জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ বেড়ে যায় বহুগুণে। 

সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবন ও অকাল মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘ন্যায় : দ্য জাস্টিস’। কিন্তু এর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন অভিনেতার বাবা কেকে সিং। তবে তার আর্জি খারিজ করলেন বিচারপতি সঞ্জীব নরুলা। 

বড় পর্দায় সুশান্তের জীবন তুলে ধরা নিয়ে আপত্তি রয়েছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের। সেই কথা আগেও জানিয়েছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা সিং। তবুও বলিউড পরিচালকরা একের পর এক সিনেমা তৈরি করে চলেছেন, যেখানে ঘুরে ফিরে আসছে এক তরুণ এবং সফল বলিউড অভিনেতার মৃত্যুর গল্প। 

এই নিয়ে গত এপ্রিলেই দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। আবেদনের তিনি জানিয়েছিলেন, তার ছেলের মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে নিজের মতো করে বক্স অফিসে ক্যাশ ইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা তার পরিবারের পক্ষে সম্মানহানির।

পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘ন্যায় : দ্য জাস্টিট’, সুইসাইড অর মার্ডার : এ স্টর ওয়াজ লস্ট’, ‘শশাঙ্ক’-এর মতো সিনেমা নিয়ে আবেদনকারীর আপত্তি রয়েছে কারণ তা প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত ও তার পরিবারের মর্যাদা ও সম্মানের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। এই সকল সিনেমার নির্মাতাদের কেউই অভিনেতার পরিবারের কাছে অনুমতি নেননি।

২ জুন এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সেই সময় রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন বিচারপতি, অবশেষে ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) প্রযোজকদের পক্ষেই রায় গেল। এ নিয়ে এপি সিং জানান, ‘এটা একটা বড় জয় আমাদের জন্য। শুধু আমাদের জয় বললে ভুল হবে, সেই সকল নির্মাতাদের জয়, যারা সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে ছবি তৈরি করেন।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এমআরএম