তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি এবং বিধায়ক আকবরউদ্দিন ওয়াইসি সম্প্রতি বিধানসভায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। পুষ্পা টু-এর প্রিমিয়িারে পদপিষ্ট হয়ে নারী ভক্তের নিহতের ঘটনায় সরাসরি অভিনেতাকে দায়ী করেছেন তারা। 

তেলেঙ্গানা বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি এবং আকবরউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগে বলেছেন, সন্ধ্যা থিয়েটারের প্রিমিয়ার উপলক্ষ্যে জমায়েতের মধ্যে এক মহিলা পদপিষ্ট হয়ে মারা যান এবং তার সন্তান গুরুতর আহত হন। এই ঘটনা শোনার পর আল্লু নাকি তার দিকে একবার চেয়ে মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘যে এবার ছবি সত্যিই হিট হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, কোনোরকম পুলিশি অনুমতি ছাড়াই আল্লু অর্জুন সেই রোড শো করেছেন। এমনকী এই ঘটনায় অভিনয়শিল্পীদের আল্লুর পাশে দাঁড়ানোয় কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগের জবাবে শনিবার রাতে জুবিলি হিলসের বাড়িতে আল্লু অর্জুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, নারী ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় এমন কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি।

আল্লু অর্জুন বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহ আমার কাছে মন্দিরের মতো। তাই এরকম ঘটনা আমাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু এই বিষয়ে প্রচুর ভুল তথ্য রয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে ভুল তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। আমি অত্যন্ত অপমানিতবোধ করছি। আর এটা তো স্পষ্ট চরিত্র হননের চেষ্টা। আমাকে মানুষ ২০ বছর ধরে চেনেন, আমি কি এরকম কথা বলতে পারি? আমি তো নিজের কাজেও যেতে পারছি না।’ 

আল্লু আরও বলেন, বিগত ২০ বছরে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, আমি প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার কথা ভাবলে এতটাও অসচেতন হই না।

কীভাবে এত জমায়েত হল? এর উত্তর আল্লু বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে এর আগেই প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছিল। কোনো রোড শো করিনি আমি। শুধু আমার গাড়ি থেকে বেরিয়ে অনুরাগীদের হাত নেড়ে বলতে চেয়েছিলাম, তারা যেন রাস্তা ছেড়ে দেয়। যেকোনও রাজনৈতিক নেতা এই কাজ করে থাকেন।’

আহত ছেলেটিকে কেন দেখতে যাননি সেই কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেতা। আল্লু জানান, আইনি জটিলতায় এতটাই জর্জরিত ছিলেন যে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিনেতা বলেন, ‘আমার জিবনের খুব দুর্দশার পরিস্থিতি এটি। নিজেরও একই বয়সের সন্তান রয়েছে, আমিও একজন পিতা। সন্তানের এই অবস্থায় বাবার মনে কি চলতে পারে, সেটা স্পষ্টই বুঝি।’

আল্লু জানান, আহত ছেলেটির জন্য একটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। 

এনএইচ