শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করেই কার্যত জীবনের মোড় ঘুরে গেছে এনসিবির প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের। এক ঘটনাতেই রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান এই কর্মকর্তা।

কারাগারে ২৫ দিন থাকার পর আরিয়ানের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ খারিজ করে তাকে মুক্তি দেয় আদালত। কিন্তু সমালোচনা থেকে এখনও মুক্তি পাননি সমীর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই মাদক মামলার প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেছেন তিনি।

২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখের জওয়ান সিনেমার একটি ডায়লগ বেশ জনপ্রিয় হয়। অনেকের ধারণা, ‘বেটে কো হাত লাগানে সে পেহলে বাপ সে বাত কর’ এই ডায়লগটি আদতে শাহরুখ সমীরের উদ্দেশেই বলেছিলেন। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সংলাপের সেই প্রসঙ্গ উঠতেই সমীর সোজাসুজি বলেন, ‘এই ধরনের নোংরা ডায়লগকে আমি পাত্তা দিই না। এসব বাপ-বেটা মার্কা কথা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। খুব সস্তা শোনায়। একদমই যেন রাস্তার ধারের কথা। আমি এ ধরনের সংলাপের জবাব দিতে চাই না।’

আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করে সমীর ওয়াংখেড়ে দাবি করেছিলেন, তিনি মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। কিন্তু আদালত এমন অভিযোগের কোনও ভিত পায়নি, তাই তাকে জামিন দেওয়া হয়। 

সমীর অবশ্য বলছেন, মামলা এখনও আদালতে চলছে তাই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চান না। তবে এই ধরনের মামলা তার কাছে 'ছোট' বলেই খোঁচা দিয়েছেন তিনি। 

এই পুলিশ কর্মকর্তার কথায়, ‘৩ হাজার ৪০০-র বেশি মামলা আমি হ্যান্ডেল করেছি। তাদের কেউ লাইমলাইটে আসেনি। কারণ কারও ফেস ভ্যালু ছিল না। আমি শুধু আমার ডিউটি করেছি। কারণ আমি কাউকে সেলিব্রেটি মনে করি না।’

২০২২ সালে আরিয়ানের জেলমুক্তি ঘটার পর থেকে শাহরুখ খান কার্যত মিডিয়ার প্রচারে আসাই বন্ধ করে দিয়েছেন। ২০২৩ সালে তার ৩টি সিনেমা মু্ক্তি পেয়েছিল। কিন্তু কোনও সিনেমা মু্ক্তির আগে তাকে প্রচারে দেখা যায়নি। 

তবে তিন-তিনটি সিনেমাই ব্লকবাস্টার হয়। 'পাঠান' এবং 'জওয়ান' পরপর ১০০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখায়। 'ডাঙ্কি' ৫০০ কোটির ক্লাবে ঢোকে। এক বছরে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা ব্যবসা করে বলিউড বাদশার সিনেমা।

অন্যদিকে সমীর ওয়াংখেড়ে বর্তমানে ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের একজন অফিসার। আরিয়ান মামলায় তার ভূমিকা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা শুরু হওয়ার পরই তাকে নারকোটিক্স বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এনএইচ