৬ লাখ টাকার পোশাক ও ২ লাখের ব্যাগ হাতে সুহানা
কালো রঙের মিনি ড্রেস। কাঁধে সরু স্ট্র্যাপ। পোশাকের সঙ্গে মানানসই উঁচু হিলের জুতা। হাতে সোনালি ডিজাইনার ব্যাগ। এই বেশভূষায় মুম্বাইয়ের এক তারকাখচিত ইভেন্টে ক্যামেরার সামনে ধরা পড়লেন শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান।
তারকা কন্যার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হোক কিংবা প্রেমজীবন, সব নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। স্টাইলের ক্ষেত্রে মা গৌরী খানকে ফলো করেন সুহানা। পোশাকের ব্যাপারেও খুব সতর্ক।
বিজ্ঞাপন
সুহানা খান একটি বডি-কন কালো পোশাক পরে মুম্বাইয়ে বেরিয়েছিলেন। যার মধ্যে অনেকেই নব্বইয়ের দশকের ছোঁয়া খুঁজে পেয়েছেন। সুহানার হাতের মূল্যবান ধাতব ব্যাগ তার পার্টি ফ্যাশনকে নিখুঁত করে তুলেছিল।
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁর বাইরে গাড়ি থেকে নেমে পাপারাৎজিদের জন্য পোজ দিলেন সুহানা খান। চুলে হালকা কার্ল এবং ঝলমলে মেকআপে পাওয়া গেল ‘দ্য আর্চিস’ তারকাকে। পোশাকে শিমারি ইফেক্ট ছিল।
সুহানা যে ক্রিস্টাল মিনি ড্রেস পরেছেন, তা ইতালির জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্রান্ড ভার্সাচের। ডিজাইনার লেবেলের ওয়েবসাইটের মতে, ভারতীয় মুদ্রায় এই পোশাকের দাম ৪ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ টাকা)। এই স্লিভলেস মিনি ড্রেসটির নেকলাইন, পোশাকের টোনাল ক্রিস্টাল অলংকরণ এবং কাঁধের অভিনব স্ট্র্যাপগুলি নজর কেড়েছে ভক্তদের।
দামের দিক থেকে আলাদাভাবে নজর কেড়েছে সুহানার ব্যাগও। সুহানার হাতে ছিল ভ্যালেন্টিনো গারাভানি ব্র্যান্ডের স্মল লোকো শোল্ডার ব্যাগ। ধাতব এই ব্যাগের দাম ২ লাখ টাকা। বাবার যেমন নামিদামি হাতঘড়ি কালেকশন রয়েছে, তেমনই বহুমূল্য ব্যাগ সংগ্রহের প্রতি আগ্রহ রয়েছে সুহানার।
আরও পড়ুন
কিন্তু সুহানাকে যে এই প্রথম বহুমূল্য পোশাকে দেখা গেল, এমন নয়। এর আগেও বহুবার নামি ব্র্যান্ডের পোশাক থেকে শুরু করে বহুমূল্য হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার করতে দেখা গেছে তারকা কন্যাকে।
পাশাপাশি সাসটেইনেবল ফ্যাশনও প্রোমোট করেন সুহানা। অনেকসময়ই মায়ের আলমারি থেকে শাড়ি বের করে নিজের মতো করে সেটা স্টাইল করেন শাহরুখ-কন্যা।
জোয়া আখতারের দ্য আর্চিসের সঙ্গে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছেন সুহানা। এই ছবির সেটেই বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দকে মন দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আগামীতে সুজয় ঘোষের কিং ছবিতে দেখা যাবে সুহানাকে। এই ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক হবে শাহরুখ কন্যার। এই ছবিতে সুহানার সঙ্গী তার বাবা-কুল শাহরুখ খান। থাকছেন অভিষেক বচ্চনও।
সূত্র: পিংকভিলা ও হিন্দুস্থান টাইমস।
এনএইচ