স্ত্রীর অত্যাচারে স্বামীর আত্মহত্যা, কঙ্গনা বললেন, ‘দোষ পুরুষেরই’
বেঙ্গালুরুতে আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা ভারত। স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের 'মিথ্যা' মামলায় হাজিরা দিতে অন্তত ৪০ বার বেঙ্গালুরু থেকে জৌনপুর গিয়েছেন অতুল সুভাষ। শেষমেষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
অতুল সুভাষ আত্মহত্যার আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করে জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণরূপে স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবার দায়ী। তাদের অত্যাচার, হেনস্থার জন্যই মূলত এই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার বেঙ্গালুরুর মঞ্জুনাথ লে আউট কমপ্লেক্সের ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এমনকী তার ঘর থেকে একটি প্ল্যাকার্ডও পাওয়া যায় যেখানে লেখা ছিল, 'বিচার বাকি আছে'।
এর সঙ্গে তার লেখা একটি ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে যখন ভারতজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি তখনই এই ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা বলেছেন, ‘পুরো দেশের কাছে এই ঘটনা বড় ধাক্কা। তার ভিডিও সত্যিই হৃদয়বিদারক। ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বিয়ে হলে সব কিছু ঠিক থাকে। এসবের জন্য দায়ী বামপন্থা বা ভুয়া নারীবাদের চরম নিন্দা করি। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। যা ওই যুবকের ক্ষমতার বাইরে ছিল। চাপে পড়েই তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন
অভিযোগকারী বা নির্যাতিতা সঠিক বলছেন কি না, এই সব ক্ষেত্রে তা-ও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন কঙ্গনা। এই মন্তব্য করেই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই একজন মহিলাকে অবশ্য উদাহরণ হিসেবে গণ্য করাই উচিত নয়। যেসব মহিলার সঙ্গে সত্যিই প্রতারণা করা হয়, তাদের ঘটনাগুলোকে আমরা একেবারেই অস্বীকার করতে পারি না। কারণ, ৯৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদে পুরুষদেরই দোষ থাকে।’
কঙ্গনার এই মন্তব্যে চটেছেন নেটিজেনরা। তারা মানতে নারাজ, ৯৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদে পুরুষদেরই দোষ থাকে।
এক নেটিজেনের কথায়, ‘এমন মানুষের থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়াই উচিত নয়। ইনি নিজেই একজন শোষণকারী। তার নিজেরই বলা ৯৯.৯৯ শতাংশ ঘটনা মিথ্যা।’
কেউ লিখেছেন, ‘৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষরাই দোষী ? কীভাবে তিনি এই তথ্য পেলেন ?’ আবার কেউ কেউ তাকে সোজা ভাষায় 'ফিমেল শভিনিস্ট' বলে সম্বোধন করেছেন।
এদিকে অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী ছাড়াও শ্যালক ও শাশুড়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে একটি আইটি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে সেখানেই থাকতেন তিনি। অতুলের স্ত্রীও চাকরিজীবী ছিলেন। তবে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চালকালীন মাসিক ৪০ হাজার টাকা ভরণপোষণ দিতে হত অতুলকে। এরপরেও অতুলের স্ত্রী ও তার পরিবার আরও ২-৪ লাখ টাকা দাবি করছিলেন বলে অভিযোগ। যে কারণে যুবকের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের আদালতে মামলাও করেছিলেন স্ত্রী।
এনএইচ