দেশটা কারও বাপের না, কড়া বার্তা দিলজিতের
বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ। বর্তমানে চলছে তার দিল-লুমিনাতি ট্যুর। কারণ-অকারণে মাঝেমধ্যেই এই গায়ককে জড়িয়ে সৃষ্টি হচ্ছে নানা বিতর্ক। সেই তালিকায় আরও এক নয়া সংযোজন।
দু-একদিন আগেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সদস্যরা পাঞ্জাবি গায়কের শো আয়োজকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। যেন কোনোভাবেই দিলজিতের অনুষ্ঠানে মদের ব্যবহার না হয়। একইসঙ্গে আমিষ জাতীয় খাবার রাখতেও নিষেধ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
যে বিষয়গুলো মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে, তা কোনও অনুষ্ঠানস্থলের ত্রিসীমানায় আনা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হিন্দুত্ব সংগঠনগুলি।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওঠে নানা অভিযোগ। দিলজিতের শোয়ের আগে হঠাৎই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বজরং দলের কর্মীরা। প্রকাশ্যে মদ ও মাংস পরিবেশন, বিক্রি না করার দাবিতে হয় প্রতিবাদ।
এরই মধ্যে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল হিন্দুত্ববাদী যুবক অনুষ্ঠানস্থলের সামনে বিক্ষোভ করছেন। এমনকী তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়ান।
এই ঘটনায় অনুষ্ঠানের এক আয়োজক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, দিলজিতের ইন্দোরের শোতে কোনও আমিষ বা অ্যালকোহল ছিল না।
আরও পড়ুন
বিষয়গুলো নিয়ে মোটেও খুশি নন পাঞ্জাবি এই গায়ক। সম্প্রতি হাজারো দর্শকের সামনে লাইভ শো চলাকালীন মঞ্চ থেকেই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। যেখানে কবি রাহাত ইন্দোরির লেখা কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করে বলেন, ‘সবার রক্ত এখানের মাটিতে মিশে আছে, কারও বাপের হিন্দুস্তান নয়।’
বজরং দলের সদস্যরদের ইন্দোরে তাঁর কনসার্টের মাঝে প্রতিবাদ, এবং অনুষ্ঠানে মদ ও মাংসের খোলামেলা বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উত্তর যে এভাবেই দিয়েছেন দিলজিৎ তা বলাই যায়।
দিলজিৎ কনসার্টের মাঝেই হঠাৎ থেমে রাহাত ইন্দোরির বিখ্যাত লাইন ‘আগর খিলাফ হ্যায় হোনে দো’ বলেন। দিলজিতের এই প্রতিবাদী কণ্ঠ মন ছুঁয়েছে ভক্তদের।
এর আগেও দিলজিতের অনুষ্ঠানে অ্যালকোহলের ব্যবহার নিয়ে নানা প্রতিবাদ হয়েছিল। হায়দরাবাদে ‘মদ’ শব্দের ব্যবহার রয়েছে এমন গান স্টেজে গাইতে পারবেন না দিলজিৎ বলেও শর্ত রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
সেই সময় দিলজিৎ বাধ্য হয়ে তার একটি গানে ‘মদ’-এর বদলে ‘কোক’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এমনকী পুনেতে দিলজিতের কনসার্টে মদ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্রের আবগারি দপ্তর।
এনএইচ