সংসারে ভাঙন, মেয়ের মানসিক অবস্থার জন্য নিজেদের দায়ী করেন আমির
অভিনেতা আমির খানের মেয়ে আইরা (ইরা) খান। দীর্ঘদন ধরেই মানসিক অবসাদের শিকার তিনি। এর জন্য নিয়মিত থেরাপির সাহায্য নেন এই তারকাকন্যা।
মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই নিয়ে বরাবরই খোলামেলা আইরা। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন, কিন্তু অতীতের কিছু ক্ষত আজও দগদগে।
বিজ্ঞাপন
খুব ছোট বয়সেই মা-বাবার বিচ্ছেদের সাক্ষী থেকেছেন আইরা। খুদে আয়রার মনে কতখানি প্রভাব ফেলেছিল এই ভাঙন? এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন কেন তার এই দুর্দশার জন্য আমির ও রিনা নিজেদের দোষারোপ করেন।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই সম্পর্কে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আমির কন্যা। পিঙ্কভিলার সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, আইরা সেই সময়ের কথা বলেছিলেন যখন তাকে ডিপ্রেশনের জন্য ওষুধ খাওয়া শুরু করতে হয়েছিল।
আইরা বলেন, ‘আমি যখন আমার বাবা-মা দুজনকেই ডিপ্রেশনের বিষয়টি বললাম, তারা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। ২০১৮ সালে বাড়িতে এসে ওষুধ (ডিপ্রেশনের) খাওয়া শুরু করি। সেই সময়ে, আমি বলতে পারি যে তারা উভয়ই অত্যন্ত চিন্তিত ছিল কারণ তারা তাদের সম্পর্কে ভাঙন ও বর্তমান সমীকরণ নিয়ে ভাবছিল।’
তাদের দুজনকে উদ্দেশ্য করেই আমি তখন বলি, ‘আমি তোমাদের সন্তান, আমার এখন সাহায্য দরকার, নিজেদের ভয় নিয়ে তোমরা পরে মোকাবেলা করতে পারো।’
আরও পড়ুন
‘তারা কখনও এটা বলেনি বা খোলাখুলিভাবে নিজেদের দোষারোপ করেনি, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে তারা এই জিনিসগুলি অনুভব করেছে। যদিও তারা জানে যে এটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটি অনেক কিছুর পরিণতি। আশা করি তারা নিজেদেরকে দোষারোপ করবেন না।’
আমিরের পাশের বাড়ির মেয়ে রিনা। ভালোবেসে ১৯ বছরের এই তরুণীকেই বিয়ে করেছিলেন বছর ২১-এর ঝকঝকে যুবক আমির। তাদের প্রেম কাহিনি কোনও ফিল্মের গল্পের চেয়ে কম রোমাঞ্চক নয়।
পাশের বাড়ির মেয়ে রিনার সৌন্দর্যে ছোটবেলা থেকেই বুঁদ ছিলেন আমির। ১৯৮৬ সালে বিয়ে হয়েছিল রিনা-আমিরের। ২০০২ সালে ১৬ বছর দীর্ঘ দাম্পত্যে ইতি টানেন দুজনে। তাদের দুই সন্তান ইরা খান ও জুনাইদ খান।
বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আইরা বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ একদিনের ছিল না, ওদের ডিভোর্সের পর থেকে থেকে আমাদের সবার জীবন বদলে গিয়েছিল। সেদিনের পর থেকে অনেক ভালো ঘটনা ঘটেছে, অনেক কিছু ঘটেছে যা হয়তো আমরা জানতামই না।’
এনএইচ