২০১৩ সালের ৩ জুন। আত্মঘাতী পথ বেছে নেন বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান। মুম্বাইয়ের জুহু এলাকার আবাসন থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। সঙ্গে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর ছয় পাতার সুইসাইড নোট। 

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন জিয়ার প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলি। তবে ২২ দিনের মাথাতেই জামিন পান তিনি। আদালতের মত অনুযায়ী, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাব থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় সূরজকে।

১১ বছর আগের ঘটনা হলেও, আজও তা নিয়ে চর্চা হয়। সম্প্রতি সূরজ পাঞ্চোলির মা জরিনা ওয়াহাব বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জিয়ার সম্পর্কে। তার দাবি, সূরজের সঙ্গে পরিচয়ের আগেও নাকি বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। 

জরিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আগেও চার-পাঁচ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু ভাগ্য এমন, আমার ছেলের ক্ষেত্রেই ঘটনাটা ঘটে গেল।’

জিয়ার আত্মহত্যার পরে কারাবাসের জন্য সূরজের কর্মজীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি জরিনার। তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা সবাই খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, মিথ্যার উপর ভিত্তি করে কারও জীবন নষ্ট করলে তা ফেরত পেতে হয়। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। প্রমাণ হয়ে গেছে, সূরজের দোষ ছিল না।’

জরিনা যোগ করেন, ‘দশ বছর সময় লেগেছে ওর এই বিষয় থেকে বের হতে। অবশেষে আমরা খুশি। সূরজের ক্যারিয়ারের ওপর খারাপ প্রভাব পড়েছিল। ও (জিয়া) কী করত, সকলেই জানে। আমি মুখ খুলতে চাই না। ওর ব্যাপারে বলে নিজেকে ছোট করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, ‘হাউসফুল’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল জিয়া খানকে। ‘গাজনি’ ছবিতে জিয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। তবুও অল্প বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী। 

এনএইচ