গত ২ নভেম্বর নিজের জন্মদিনে জনসমক্ষে আসেননি শাহরুখ খান। যা নিয়ে খানিকটা মর্মাহত হয়েছিল মান্নাতের বাইরে অপেক্ষারত শাহরুখ ভক্তরা। 

কয়েক ঘণ্টা পরই শাহরুখকে খুনের হুমকি দিয়ে ফোন আসে মুম্বাই পুলিশের কাছে। বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যার পর থেকেই সতর্ক শহরের পুলিশ। সালমান খানকে লাগাতার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। তার মধ্যেই নতুন বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেয় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি! 

এই ঘটনায় অবশেষে ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারীরা। 

গত সপ্তাহে বান্দ্রা থানায় শাহরুখ খানকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ফোন আসে, দাবি করা হয় ৫০ লক্ষ টাকা। এরপর পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে ফয়জান খান নামে এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।

রায়পুরের আইনজীবীকে তলব করা হয়েছিল কারণ তার নামে নিবন্ধিত একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করে কিং খানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। 

এ ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ রায়পুর গিয়ে পান্দ্রি থানা এলাকার ফয়জান খানকে তলব করে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে হাজিরা না দিলে ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ সুপার (সিএসপি-সিভিল লাইনস) অজয় কুমার জানান, ফয়জান খান দাবি করেছেন- তার ফোনটি হারিয়ে গিয়েছিল। এই হুমকির পেছনে তার কোনো হাত নেই।

ফয়জান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার ফোন নম্বর থেকে কল দেওয়া হলেও সেটা তিনি করেননি। এসবই ষড়যন্ত্র। 

১৯৯৪ সালে 'আনজাম' সিনেমার একটি সংলাপ নিয়ে শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে হরিণ শিকারের প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। 

এ বিষয়ে ফয়জান বলেন, ‘আমি রাজস্থান থেকে এসেছি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় (যারা রাজস্থান থেকে আসে) আমার বন্ধু। হরিণ রক্ষা করা তাদের ধর্ম। সুতরাং কোনো মুসলমান যদি হরিণ সম্পর্কে এ ধরনের কিছু বলে তাহলে তা নিন্দনীয়। তাই আপত্তি জানিয়েছি’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফোন থেকে যারাই কল করেছেন, তারা ইচ্ছাকৃত এসব করেছে। আমি মনে করি, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেইনি।’

এনএইচ