কুনিকা সদানন্দ, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’র মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছে। পাশাপাশি টেলিভিশন পর্দায় কাজ করেছেন। সবশেষ ২০১৫ সালে দিল্লি ওয়ালি ঠাকুর গুর্লস-এ দেখা গেছে তাকে। 

সালটা ছিল ১৯৯৩। কুমার শানুর সঙ্গে প্রেমের কারণে বেশ চর্চায় ছিলেন কুনিকা সদানন্দ। সম্প্রতি ফের একবার পুরোনো সেই সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় তিনি। 

এক সাক্ষাৎকারে কুনিকা বলেন, বর্তমানে আর সেই সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে তার অসুবিধা নেই, আবার সেই সম্পর্ক না থাকার কারণে কোনও অনুশোচনাও নেই।’ 

কুনিকা সদানন্দ বলেন, ‘আজ আমার স্বীকার করতে কোন লজ্জা নেই যে, আমি ১৯৯৩ সালে কুমার শানুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। সে সময় কুমার শানুর সংসার ভেঙেছিল। তিনি পরিবার থেকে দূরে ছিলেন। যতদিন এই সম্পর্ক ছিল, সেটা ভালোই ছিল। তবে ২৫ বছর পর আমদের সেই সম্পর্ক কেন ভাঙল তা নিয়ে আলোচনা করার কোনও মানে নেই। শানুজি এখন নিজের পরিবারের সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করছেন। আমরা একে অপরকে সম্মান করি। আর এই চ্যাপ্টারটা ক্লোজ হয়ে গেছে। আমি এখন সিঙ্গেল, তবে সুখী।’

একসময় বিয়ে ভাঙার পর কুমার শানুর সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনশিপে ছিলেন কুনিকা। তবে সেই সম্পর্কও টেকেনি।

কুনিকা বলেন, ‘আমি এখন আর সঙ্গীর প্রয়োজন বোধ করি না। আমার বড় ছেলে বিবাহিত এবং আমি এখন ঠাকুমা হয়ে গেছি। আর আমার ছোট ছেলে বিনোদন দুনিয়ায় কাজ করতে চায়। তাই, কোনোও কিছু নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।’

বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন কুনিকা। তিনি বলেন, ‘একজন আইনজীবীর পেশা গ্রহণ করার পর আমাকে এখন দায়িত্বশীল কাজ করতে হয়। এই কাজটা আমাকে অনেক স্বস্তি দেয়, কারণ আমি এতে মানুষকে দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করতে পারি। তা সিভিল বা ফৌজদারি, যে বিষয়ই হোক না কেন।’

প্রসঙ্গত, কুনিকার জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। অল্পবয়সে বিয়ে, খুবই খারাপভাবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ। সন্তানদের হেফাজতে পাওয়ার লড়াই, তবে কুনিকার কথায় তিনি কখনও আত্মবিশ্বাস হারাননি। 
একসময় অভিনয় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মুম্বাই চলে আসেন, একাধিক সিরিয়াল, সিমেমায় কাজও করেন। আবার আইন নিয়ে পড়াশোনা করে পরবর্তী সময়ে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

এনএইচ