নব্বইয়ের দশক থেকেই বলিউড ‘ভাইজান’-এর দেহরক্ষী শেরা। যেন খান পরিবারের একজন সদস্য হয়ে গেছেন। সালমানের সর্বক্ষণের সঙ্গী তিনি। অভিনেতা কখনও দেশের বাইরে গেলেও শেরা তার সঙ্গে যান। 

নিরাপত্তা প্রদানকারী একটি সংস্থার মালিক শেরা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সালমান খানের দেহরক্ষী হিসেবে কোন কাজটা করা সবচেয়ে কঠিন।

সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালমানকে সতর্ক করে একটি খোলা চিঠি লিখেছে তারা। 

সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিবাদ অনেক বছরের। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিশোধ স্বরূপই বিষ্ণোই দল অভিনেতাকে একাধিকবার প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে।

ফেরা যাক শেরার কথায়। বহু বছর ধরে সালমানের দেহরক্ষী হওয়ার সুবাদে শেরা জানিয়েছেন, মানুষ যেমন সালমানকে কাছ থেকে এক ঝলক দেখার জন্য হুড়মুড়িয়ে ছুটে আসেন তা নিয়ন্ত্রণ করাটা বেশ কঠিন। 

তিনি আরও জানান, এ কথা দেশে বিদেশে সব জায়াগায় প্রযোজ্য। অথচ বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত কারণে ভিড়ের কাছাকাছি যাওয়ার ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সালমানের উপর। 

তবে অনুরাগীদের মন তো আর সেটা মানতে চায় না। সব মিলিয়ে তাই 'টাইগার'কে ঘিরে অনুরাগীদের উন্মত্ততা নিয়ন্ত্রণ করাই সালমানের দেহরক্ষীদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

এদিকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেল খাটছেন। কিন্তু তার গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। গত এপ্রিলে সালমানের বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’র সামনে গুলি চালিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। এই ঘটনার পরে বৃদ্ধি করা হয়েছে সালমানের নিরাপত্তা।

প্রসঙ্গত, বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক গায়ক জাস্টিন বিবার মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠান করতে এসেছিলেন। সেই সময় গায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বেও ছিলেন শেরা।

এনএইচ