আরব সাগরের পাড় তথা ভারতের মুম্বাই শহরে এখন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে ‘লরেন্স বিষ্ণোই’ নামে এক কট্টরপন্থী গ্যাং দল। আর সেই গ্যাংয়ের নিশানায় অনেকদিন ধরেই রয়েছেন বলিউড হিরো সালমান খান। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক খুন হওয়ার পর হত্যার দায় নেয় সেই বিষ্ণোই গ্যাং। এরপর থেকে নড়েচড়ে বসেছেন সালমান ও তার ঘনিষ্ঠরাও। 

অনেক বছর আগে এক কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে আইনি জটিলতায় পড়েন সালমান খান। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সাল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এক সহযোগী সালমান খানকে হত্যার ছক আঁকে। বলে রাখা ভালো, বিষ্ণোই গোষ্ঠী কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে।

প্রশাসনসহ অনেকের ধারণা, লরেন্স বিষ্ণোইদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এদিকে পরিকল্পনা নেওয়ার ৬ বছরের মধ্যে নায়কের সঙ্গে ঘটে যায় নানান অঘটন। একের পর এক খুনের হুমকি, এমনকি সালমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়ির সামনে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর নিত্যদিনের শিরোনাম হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাণ্ড। যেমন বাবা সিদ্দিক হত্যায় বিষ্ণোইদের দায় নেওয়া, অভিনেতা মুনাওয়ার ফারুকিকেও হত্যার হুমকি এছাড়াও সালমান খানকে একের পর এক হত্যার হুমকির খবর তো আছেই।

এরই মধ্যে ভারতের বাংলা গণমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান খানকে অকাল জীবনাবসান থেকে মুক্তি দিতে পারে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং, তবে তা নাকি এক শর্তে।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক পুরোনো সাক্ষাৎকার থেকে পাওয়া তথ্যে গণমাধ্যমটি জানায়, সালমানকে হত্যা করাই বিষ্ণোইদের লক্ষ্য; তবে এক শর্তে সালমানকে মাফ করে দেওয়ার দাবি জানায় তারা।

সেই দাবি অনুসারে বিষ্ণোইয়ের কথায়, “আমাদের বিষ্ণোইদের একটা মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরের নাম মুকাম। সেখানে সালমান যদি ক্ষমা চায়, তাহলেই ক্ষমা করা হবে।”

উল্লেখ্য, সদ্য খুন হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি ছিলেন সালমান খানের আত্মীয়। গত ১২ অক্টোবর বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করে বিষ্ণোই সদস্যরা। কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠীর অত্যাচারে খোদ সালমান ও তার ঘনিষ্ঠরা মহা আতঙ্কে। তাদের বাসা-বাড়িতে এখন কড়া নিরাপত্তা।

ডিএ