বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ক্যারিয়ারের অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবুও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলাটা মোটেও সহজ ছিল না এই তারকার জন্য। দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। 

কাস্টিং কাউচ থেকে শুরু করে বডি শেমিংয়ের শিকারও হয়েছেন বিদ্যা। স্বাস্থ্য ভালো হওয়ায় শরীর নিয়ে প্রায়শই কটু কথা শুনতে হয়েছে তাকে। যেসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই নায়িকা। 

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আবারও নিজের ফিগার নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা বালান। যেখানে তিনি বলেন, শরীর নিয়ে সবসময়ই আমার সমস্যা ছিল। মোটা মেয়ে হিসেবে আমি বেড়ে উঠেছি। কিন্তু ‘ডার্টি পিকচার’ আমাকে উপলদ্ধি করিয়েছে যে, নিজেকে অনুভব করার জন্য শরীরের আকৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি মনে করি, এটি আমাকে মুক্তি দিয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে এটি কেবল আমার ভাবমূর্তি বদলে দেয়নি, বরং আমাকে উপলদ্ধি করিয়েছে যে, এই শরীর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং এর প্রশংসা করা উচিত।

অসুস্থতার কারণেই নিজের শরীরের ওজন বেড়ে যায় বলে জানান বিদ্যা। তবুও মানুষ তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে লড়াই করেছেন ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকতে। 

সেটা উল্লেখ করে বিদ্যা বলেন, ভারতে একটা চল আছে, কারো সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলে প্রথমেই চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা হয়। শুধু তা–ই নয়, কেউ জানতে চান না কেমন আছি; বরং বহুদিন পর দেখা হলে মানুষ আগে মন্তব্য করেন, ‘আরে, কত মোটা হয়ে গেছো, অথবা কত রোগা হয়ে গেছো।’

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, ‘এছাড়া কি আর কিছু দেখতে পান না তারা? এর থেকেই বোঝা যায়, কত হালকাভাবে একজন মানুষকে আপনি দেখেন।’

এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান বলেছিলেন, ‘আমার শরীর আমি ভালোবাসি। এ বিষয়ে কে কী মন্তব্য করল, তাতে কিছু যায়-আসে না। যেকোনো বিষয়ে একেক জনের একেক মতো থাকতেই পারে। আয়নার সামনে দাঁড়ানোর পর যদি নিজেকে দেখতে নিজের ভালো লাগে, আমি দ্বিতীয়বার কিছু ভাবি না। আমাকে দেখে অন্যরা কী বলবে, সেটাও চিন্তা করি না।’

এনএইচ