বলিউড অন্দরে ‘বহিরাগত’ একটি আলোচিত শব্দ। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ‘নেপোটিজম’ শব্দটি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল। স্টারকিডরা অনায়াসে যেভাবে সুযোগ পান, বহিরাগতদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এই নিয়ে বলিউডে সেসময় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল। 

এদিকে বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের বিটাউনে তেমন কোনও গডফাদার নেয়। তবুও বেশ কয়েক বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শুরুর দিকে বলিউডে তার সফর খুব একটা সহজ ছিল না। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়েছেন কার্তিক।

চলচ্চিত্র জগতের শুরুর দিনের স্মৃতি প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে সুযোগ পাওয়া এবং নিজের কাজের জন্য প্রশংসা আদায় করে নেওয়া কঠিন এবং সেটা শেষ পর্যন্ত মনের উপর প্রভাব ফেলে। নতুন করে সবকিছু শেখার পরও সমানাধিকারের জন্য লড়াই করতে হয়।’

তিনি জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র জগতের বাইরে থেকে কেউ এলে তাকে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। কারণ কাজ পেতে পরিশ্রম করতে হয়। কার্তিকের কথায়, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরে থেকে আসাটা যে দুর্বলতা নয়, সেটা বুঝাতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি যা যা করেছি সবটাই নিজের পরিশ্রমে।’

২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল কার্তিকের প্রথম ছবি ‘পেয়ার কা পঞ্চনমা’। কিন্তু সেই ছবি মুক্তির আগে কার্তিকের মনে অনেক ধন্দ ছিল। আসলে সেসময় অভিনেতা টিনসেল টাউনের কাউকেই চিনতেন না। তাই বলিউডে কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মনে আশঙ্কা ছিল। এমনকি পরিবার ছাড়া তার ছবির শুটিং নিয়ে কাউকেই তিনি বলেননি। 

ছবির ট্রেলার মুক্তির পরই কার্তিক সকলকে জানিয়েছিলেন। প্রথম ছবির পর পরই যে তিনি আরও সুযোগ পেয়েছিলেন তেমনটা নয়। তবে ধীরে ধীরে বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন কার্তিক আরিয়ান। এরপর ‘ভুলভুলাইয়া ২’ ছবিতে কার্তিককে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।

এমআইকে