অভিনয়ের পাশাপাশি সবসময়ই স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন  ‘নাইট ম্যানেজার’ অভিনেত্রী তিলোত্তমা সোম। সেটা নিজের বয়স নিয়ে হোক অথবা শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনা। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তিলোত্তমা জানিয়েছেন দিল্লি একেবারেই অসুরক্ষিত নারীদের জন্য। তিনি নিজেই এর সাক্ষী। 

দিল্লি যে নারীদের জন্য একেবারেই সুরক্ষিত শহর নয়, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে একাধিক ঘটনায়। এবার সেরকমই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন তিলোত্তমা নিজে।

তিলোত্তমা তার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে বলেছেন, এক সন্ধ্যায় তিনি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনও বাস তিনি পাচ্ছিলেন না। এদিকে রাতও হয়ে আসছিল। হঠাৎ একটি গাড়ি দাঁড়ায় তার সামনে। গাড়ি থেকে ৬ জন পুরুষ নেমে আসেন। নিরাপত্তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই তাদের থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নেন তিলোত্তমা। আর তার পরেই অভিনেত্রীকে টার্গেট করেন ওই ৬ পুরুষ।

তিলোত্তমা আরও বলেন, এরপরই তারা আমাকে মৌখিকভাবে হেনস্তা শুরু করেন। কেউ কেউ ওদের মধ্যে পাথর ছোঁড়ে আবার কেউ কেউ খারাপ নামে ডাকতে থাকে। তিলোত্তমা আরও একটু দূরে সরে যান। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন, তাকে এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে। কিন্তু তিলোত্তমা এটাও বুঝতে পারেন, তিনি যদি দৌড়ান তাহলে তারা পিছু নেবে। বাধ্য হয়ে রাস্তার মাঝে এসে দাঁড়ান তিলোত্তমা। কিন্তু কোনও গাড়িই দাঁড়াচ্ছিল না। অবশেষে দেখেন একটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে। গাড়ির সামনের আসনে গিয়েই বসেন তিনি। কিন্তু বুঝতে পারেননি, তার জন্য আরও বিপদ অপেক্ষা করছে।

তিলোত্তমা জানান, ওই গাড়িতে মেডিক্যাল সংক্রান্ত চিহ্ন ছিল। তিলোত্তমা ভেবেছিলেন চিকিৎসক যখন তখন ভালোই হবে। তিনি গাড়িতে ওঠে সামনের সিটে বসেন। কিন্তু এরপরই চালকের আসনে থাকা ওই ব্যক্তি নিজের প্যান্টের চেন খুলে ফেলে। তিলোত্তমা বুঝতে পারেন তার সঙ্গে কী হতে চলেছে।

তিলোত্তমা বলেন, ওই ব্যক্তি আমার হাত আঁকড়ে ধরে। এরপরই আমি খুব জোরে অজান্তেই ওই ব্যক্তিকে মেরে দিই। যার ফলে ওই ব্যক্তি গাড়ি থামাতে বাধ্য হয় এবং নিজেই আমাকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে। এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত বাঙালি অভিনেত্রী। কথা শেষে নাইট ম্যানেজার সিরিজের অভিনেত্রী জানান, সেই ঘটনার স্মৃতি আজও তার কাছে বিভীষিকাময়, আতঙ্কের। 

পিএইচ