জল্পনা বহু দিন ধরেই চলছিল। কখনও প্রেমিকের নাম লেখা লকেট, আবার কখনও প্রেমিকের সঙ্গে মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। কিন্তু আম্বানিদের বিয়েতে প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে জাহ্নবী কাপুরের প্রবেশ কার্যত সিলমোহর দিয়েছে সম্পর্কে। বিয়ের অন্দরমহলে শিখরের হাতে হাত রেখে ঘুরতেও দেখা গেছে তাকে। কিন্তু সম্পর্কের প্রথম দিকটা নাকি খুব সহজ ছিল না। আর তার অন্যতম কারণ হল জাহ্নবীর ঋতুস্রাব। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা নাকি এমন জায়গায় পৌঁছাত যে জাহ্নবী তার সম্পর্ক ভাঙতেও উদ্যত হয়েছেন একাধিক বার। প্রায় প্রতি মাসেই যখন যন্ত্রণা অসহ্য হয়ে উঠত, তার প্রভাব গিয়ে পড়ত সম্পর্কের ওপর। শারীরিক যন্ত্রণার সঙ্গে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়তেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, প্রত্যেক মাসে যখন ঋতুস্রাব শুরু হতো, এই মানুষটার সঙ্গে আমি সম্পর্ক ভাঙতে চাইতাম। সম্পর্কে আসার প্রথম তিন-চার মাসে, এই দেখে ও হকচকিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন একসঙ্গে থাকার পরে ও বুঝতে পেরেছিল বিষয়টা।

জাহ্নবী জানান, ঋতুস্রাব শুরু হলে সম্পর্ক ভাঙতেন তিনি। আর তার কয়েক দিনের মাথায় আবার সম্পর্ক ঠিক করতে যেতেন প্রেমিকের কাছে। তিনি আরও বললেন, সম্পর্ক ভাঙার দুদিন পরে আবার আমিই কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে ক্ষমা চাইতাম। আমি বুঝতে পারতাম না, আমার মানসিক অবস্থা এমন কেন হতো! সাংঘাতিক পর্যায় পৌঁছে যেতো। তবে যখনই কাজের খুব ব্যস্ততা থাকত, তখন নাকি এই যন্ত্রণা অনুভব করতে পারতেন না জাহ্নবী।

উপশম হিসেবে কি হট-ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতেন অভিনেত্রী? প্রশ্নের উত্তরে জাহ্নবী বললেন, শুটিংয়ের মধ্যে কিন্তু আমি যন্ত্রণা অনুভব করতে পারতাম না। কিন্তু যখনই বাড়িতে অবসর সময় কাটাতাম, যন্ত্রণায় আমার শরীর অবশ হয়ে যেত। গত মাসে ঋতুস্রাবের সময় আমার নিতম্বে যন্ত্রণা করছিল। আগে পিঠে ব্যথা করত। একটা সময় নাক দিয়েও রক্ত পড়ত।

বর্তমানে আসন্ন ছবি ‘উলঝ’ নিয়ে ব্যস্ত জাহ্নবী। এ ছাড়া কয়েক মাস আগেই মুক্তি পেয়েছে তার ছবি ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’।

পিএইচ