লাল-সাদা লেহেঙ্গায় রাধিকা, প্রকাশ্যে এলো নববধূর প্রথম ছবি
ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও বিনোদ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে এলো নববধূর প্রথম ছবি।
পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলার নকশা করা লেহেঙ্গায় সাজলের রাধিকা। বধূবেশে নজর কেড়েছেন তিনি। গলায় হিরের রানিহার ও চোকার। হাতে সাদা-লাল চুড়া। ছিমছাম মেকআপে সেজেছেন আম্বানিদের পুত্রবধূ।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে কমলা শেরওয়ানি পরেছেন অনন্ত। তিনি যে পশুপ্রেমী, সেটাও ধরা পড়েছে তার বিয়ের সাজে। বুকের বাঁ দিকে একটি হাতির ব্রোচ পরেছেন আম্বানিপুত্র। মাথায় লাল পাগড়ি, কপালে তিলক বরের বেশে দারুণ মানিয়েছে অনন্তকে।
আরও পড়ুন
অনন্ত রাধিকার পোশাকে সব সময় ছিল কোনও না কোনও চমক। কেমন হবে তাদের বিয়ের সাজপোশাক, সেই নিয়ে ফ্যাশন দুনিয়ায় চর্চা ছিল তুঙ্গে।
ভারতের ‘ধনকুবের’ মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ সন্তান অনন্ত এবং ‘অ্যাঙ্কর হেল্থকেয়ার’-এর সিইও বিনোদ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে দিকে নজর ছিল অনেকেরই। বিশ্বের ধনপতিদের মধ্যে অন্যতম মুকেশ। পিছিয়ে নেই রাধিকার বাবা বিনোদ মার্চেন্টও। প্রায় ৭৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাদের।
ছোট থেকেই পরস্পরকে চিনতেন রাধিকা ও অনন্ত। ভালো বন্ধু রাধিকার সঙ্গে অনন্তকে প্রায়ই নানা অনুষ্ঠানে দেখা যেত। তবে অনন্তের সঙ্গে রাধিকার বিয়ের জল্পনা জোরালো হয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের বিয়েতে। জোধপুরে প্রিয়াঙ্কা-নিকের বিয়েতে আম্বানি পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাধিকাও। মুম্বাইয়ে দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংহের রিসেশপনেও রাধিকা আম্বানি পরিবারের সঙ্গেই গিয়েছিলেন।
নিউ ইয়র্ক থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন রাধিকা। এ ছাড়াও ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তিনি। রাধিকাকে বরাবর আগলে আগলেই রেখেছেন অনন্তের মা নীতা। বিভিন্ন সময় পৌঁছে গিয়েছেন রাধিকার নৃত্য অনুষ্ঠানে। প্রথম থেকে রাধিকাকে পছন্দ আম্বানিদের। তবে সেটা একমাত্র কারণ তেমনটা নয়। রাধিকা ও অনন্ত দুজনেই পশুপ্রেমী। সেটিই আরও কাছাকাছি এনেছে তাদের।
২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়েছিল অনন্ত-রাধিকার বিয়ের তোড়জোড়। প্রথমে জামনগরে আর পরে ইতালিতে বিলাসবহুল ক্রুজ ভাড়া করে আয়োজন করা হয়েছিল প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানের। কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ে উপলক্ষে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন মুকেশ।
এমএসএ