প্রতি বছর ধুমধাম করে জগন্নাথদেবের আরাধনায় মাতেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক ও অভিনেতা রাজ চক্রবর্তী, ও অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। দেবতাকে ফুল দিয়ে সাজান তারা। কীর্তন আর প্রাসাদের আয়োজন করেন ধুমধাম করে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

শুভশ্রীর ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকে জানা গেছে, ঠাকুর ঘরে দেবতার আরাধনা করতে সবকিছু নতুন করে সাজিয়েছেন।

অন্যদিকে সোনালি সিফন শাড়িতে হাতখোঁপা আর গলায় জুঁইয়ের মালা, গায়ে উত্তরীয় পরে রথযাত্রায় এসেছেন রুক্মিণী মৈত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গেছে তাকে। রথের রশিতে টান দিয়ে তিনি পোজ দেন ফটোগ্রাফারদের সামনে। এসময় তিনি বলেন, আমি বড় হয়েছি মায়াপুর ইস্কনে। আমার নাম শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণীর নামে। ছোট থেকে সপরিবার ইস্কনের আজীবন সদস্য।

একই আয়োজন দেখা গেছে কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বাড়িতেও। সদ্য মধুচন্দ্রিমা সেরে মালদ্বীপ থেকে ফিরেছেন তারা। নিজেদের মতো করে পুজার আয়োজন করেছিলেন। ছোট্ট একতলা রথে তিন দেবতার মূর্তি। পরিবারের সঙ্গে সেই রথও টেনেছেন তারা। শ্রীময়ী জানান, পুজার সব আয়োজন কাঞ্চন নিজের হাতে করেছে।

নিজের হাতে পূজা করেছেন অভিনেত্রী মনামী ঘোষও। লাল শাড়িতে দেবতাকে ভোগ নিবেদন করেছেন তিনি। প্রাসাদ রান্নায় মনামীকে তার মা সহযোগিতা করেছিলেন।

অন্যদিকে স্বস্তিকা দত্ত ফুল-মালায় সাজিয়ে দেবতাকে চকোলেট নিবেদন করেছেন। যেকোনও পূজাতেই অংশ নেন স্বস্তিকা। তাই রথযাত্রাও বাদ পড়েনি।

পিএইচ