প্রায় এক বছর ধরে প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান চলছে ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের। কখনও গুজরাটের জামনগরে, তো কখনও ইতালিতে। এবার মুম্বাইয়ে শুরু হলো এই জুটির বিয়ের বিয়ের শেষ পর্যায়ের অনুষ্ঠান।

আগামী ১২ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। তার আগে বুধবার হয়ে গেল রাধিকার গুজরাটি বিয়ের অন্যতম একটি অংশ। এই অনুষ্ঠানে কনের মামা ভাগ্নিকে মিষ্টিমুখ করান। এই অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন বলিউড তারকারা। যেখানে হাজির ছিলেন জাহ্নবী কাপুর, শিখর পাহাড়িয়ার।  

আগামীকাল ৫ জুলাই অনন্ত ও রাধিকার সঙ্গীত অনুষ্ঠান। আর এই সঙ্গীতে পারফর্ম করতেই মুম্বাইয়ে পা রাখলেন জনপ্রিয় পপতারকা জাস্টিন বিবার। মার্চে তাদের জামনগরে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে পারফর্ম করেছিলেন রিহানা, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান ও অক্ষয় কুমাররা। আর এবার মুম্বাইয়ে অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের মঞ্চ কাঁপাবেন জনপ্রিয় এই পপ তারকা।

আগামী ১২ জুলাই মুম্বইয়ে গাঁটছড়া বাঁধবেন অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্ট। তার আগেই দরিদ্র যুবক-যুবতীদের গণবিবাহের আয়োজন করলেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। মহারাষ্ট্রের পালগড়ে বসে পঞ্চাশের বেশি জুটির বিয়ের আসর। রিলায়েন্স কর্পোরেট পার্কের অনুষ্ঠানে তাদের পরিবারের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৮০০ মানুষ।

এদিন গণবিবাহের অনুষ্ঠানে মুকেশ ও নীতা ছাড়াও আকাশ ও শ্লোকাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামলও। প্রত্যেক নবদম্পতিকে সোনার গয়না উপহার দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল মঙ্গলসূত্র, বিয়ের আংটি, নথ। এমনকি রুপোর নুপূর, চুটকিও উপহার পান তারা। 

এছাড়াও প্রত্যেক নববধূর হাতে ১.০১ লক্ষ টাকার ‘স্ত্রীধন’ তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ঘর-গৃহস্থালীর সরঞ্জাম অর্থাৎ বাসনপত্র, মুদি সামগ্রী, গ্যাস স্টোভ, মিক্সার, পাখা, বালিশ, ম্যাট্রেসও উপহার দেওয়া হয়েছে নতুন দম্পতিদের। আয়োজন করা হয়েছিল বিরাট নৈশভোজেরও।

মুাম্বইতে আম্বানিপুত্রের বিয়ের আসর বসবে। হিন্দু বৈদিক মতে গাঁটছড়া বাঁধবেন অনন্ত-রাধিকা। জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তাদের বিয়ে হবে বলে জানা গেছে। বিয়ের পরদিন শুভ আশীর্বাদ। তার পরের দিন মঙ্গল উৎসব অর্থাৎ ওয়েডিং রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানই জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হবে। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সস্ত্রীক মুকেশ আম্বানি।

এনএইচ