পর্দার মায়েদের কাছে পেয়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস প্রসেনজিতের
এক সঙ্গে পাঁচ অভিনেত্রী, যারা বিভিন্ন সময় তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সবাইকে এক ছাদের নিচে দেখে উচ্ছ্বসিত ওপার বাংলার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন নিজের ‘অযোগ্য’ থেকে ‘যোগ্য’ হয়ে ওঠার গল্প।
কারা এই পঞ্চকন্যা?
বিজ্ঞাপন
মাধবী মুখোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, লিলি চক্রবর্তী, অনামিকা সাহা ও লাবণী সরকার। প্রত্যেকে কোনও না কোনও ছবিতে প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
একটি ভিডিও শেয়ার করে সুপারস্টার লিখেছেন, আমার সব রূপোলি পর্দার মায়েদের আশীর্বাদ নিয়ে আজ আমি অযোগ্য থেকে যোগ্য।
মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসেনজিতের সম্পর্ক সেই ‘ছোট্ট জিজ্ঞসা’র সময় থেকে। ভিডিওতে তিনি সেই কথাই স্মরণ করান।
প্রসেনজিৎ জানান, তার যখন পাঁচ বছর বয়স ছিল তখন থেকে মাধবীর স্নেহধন্য তিনি। এর পরই অভিনেতা চলে যান শকুন্তলা বড়ুয়ার কাছে। শকুন্তলা বড়ুয়ার সঙ্গে প্রসেনজিতের ‘অমর সঙ্গী’র কাহিনি জড়িত। আটের দশকের এই সিনেমা তারকাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।
প্রসেনজিতের মায়ের চরিত্রে লিলি চক্রবর্তীকেও দেখা গেছে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এখন ছোটপর্দায় ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে মশকরা করতে ছাড়লেন না প্রসেনজিৎ। এর পরই চলে গেলেন অনামিকা সাহার কাছে। শুধু মা নয়, প্রসেনজিতের শাশুড়ি মায়ের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। তাই তাদের অনস্ক্রিন সম্পর্ক বরাবর টক-ঝাল-মিষ্টি। সবশেষে এল প্রসেনজিতের সবচেয়ে কম বয়সি মা লাবণী সরকারের পালা।
সুপারস্টার জানান, শটের সময় তিনি লাবণীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন। আবার শট শেষ হয়ে গেলে লাবণী প্রসেনজিৎকে প্রণাম করে নিতেন।
প্রসঙ্গত, নন্দনে ‘অযোগ্য’ সিনেমার স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে এই পাঁচজনের সঙ্গে দেখা হয় প্রসেনজিতের। সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও ছিলেন। ‘অযোগ্য’ টিমের পাশাপাশি রঞ্জিত মল্লিক, প্রভাত রায়, অনুপ সেনগুপ্ত, হরনাথ চক্রবর্তীরাও এদিন ছিলেন নন্দনে।
এমএসএ