সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান ও ঐশ্বরিয়া। ছবির সেটেই প্রেম শুরু দুজনের। সেই প্রেমের পরিণতি প্রায় সবারই জানা। ২০০২ সালে সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভেঙে যায়। 

শোনা যায়, সালমানকে ছেড়ে অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এ অভিনেত্রী। 

এ বার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন সালমানের বাবা সেলিম খান।

ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বিবেকের সঙ্গে সম্মেলনে কথা কাটাকাটিও হয় সালমানের। সে সময় বিবেক জানিয়েছিলেন, সালমান নাকি তাকে হুমকি দিয়েছিলেন। 

যদিও, বিবেকের সঙ্গেও ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। ২০০৭ সালে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে চার হাত এক হয় এ নায়িকার।

সালমান ও বিবেকের কলহ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সেলিম খান বলেন, আবেগ যেখানে আছে, সেখানে যু্ক্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। অনেক বছর পরে ওরা বুঝতে পারবে যে বোকার মতো একটা বিষয় নিয়ে ওরা ঝগড়া করেছে। যাকে নিয়ে সমস্যা, তাকে অন্য কেউ নিয়ে চলে গেল। আর এরা যেখানে ছিল, সেখানেই থেকে গেল।

সালমানের সঙ্গে কলহে জড়ানোর পর অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়। এই ঘটনার পরে সেইভাবে ছবিতে কাজও পাননি। 

বিবেক বলেছিলেন, অনেক অবাঞ্ছনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমায় যেতে হয়েছিল তখন।

এই ঘটনার পরে সালমান ও ঐশ্বরিয়া আর একসঙ্গে কোনও ছবিতে কাজ করেননি। এমনকি মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়। ২০২৩ সালে নীতা আম্বানী ও মুকেশ আম্বানীর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুজনই। তবে সেখানেও কোনও বাক্য বিনিময় হয়নি তাদের। 

এমএসএ