একটা খুনের রহস্য তখনই ঘনীভূত হয়, যখন তার মধ্যে একের পর এক জটিলতা এবং চমকের পরত থাকে। অনেকটা পেঁয়াজের খোসার মতো! অবন ভারুচা দেওহানের থ্রিলার ‘সাইলেন্স ২ : দ্য নাইট আউল বার শ্যুটআউট’ও ঠিক সেরকমই।

এই থ্রিলারের প্রথম দিকটা দেখে মনে হবে সহজ-সোজাসুজিভাবেই একটা অপরাধ করা হয়েছে। কিন্তু এই অপরাধের তদন্ত যত আগাতে থাকে, বিষয়টা ততটাই জটিলতার দিকে মোড় নিতে থাকে। বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক গোপন উদ্দেশ্য, পরস্পরবিরোধী অ্যালিবাই এবং অপ্রত্যাশিত কিছু যোগ!

আসলে যেকোনো ক্রাইম থ্রিলারের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গতি। আর সেদিকটায় আপস করতে গেলে গল্পের বর্ণনা করার ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতেই পারে। গল্পে উঠে এসেছে মুম্বাইয়ের নাইট আউল বারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার ঘটনা। পুলিশ কমিশনার আবার এই ঘটনার তদন্তের ভার তুলে দিয়েছেন এসিপি অবিনাশ ভার্মা এবং তার স্পেশাল ক্রাইম ইউনিটের (এসসিইউ) হাতে। এই এসিপি অবিনাশ ভার্মার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী।

আর তদন্ত যত এগোতে থাকে, তত সূক্ষ্ম এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা তদন্তকারীদের সামনে উন্মোচিত হতে থাকে। এই গণহত্যার কেন্দ্রে রয়েছে এক কমবয়সী মেয়ে। যার মৃত্যু তদন্তকারী অফিসারদের তো চমকে দিয়েছে, সেই সঙ্গে দর্শকদের মনেও কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে এই মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা। এক সন্দেহভাজনের থেকে নজর ঘুরে যায় আর এক সন্দেহভাজনের দিকে। ধীরে ধীরে রহস্যের জট খোলেন এসিপি অবিনাশ। কিন্তু গল্পের পটভূমি যেন ধীরে ধীরে প্রভাব হারাতে থাকে। তবে এখানেই নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন মনোজ বাজপেয়ী। তার তুখোড় অভিনয় যেন ফের পটভূমির হাল ধরে। গল্পকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়।

পিএইচ