জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল ঠিক করেছিল সালমান খানকে ভয় দেখাতে। আনমোলের কাজ পেয়েই হামলাকারী দুজন সালমানের বান্দ্রার বাড়ি লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভিকি সাহেব গুপ্ত এবং সাগর শিরিযোগেন্দ্র পাল নামের ওই দুই ব্যক্তিকে গুজরাটের ভুজ এলাকার একটি মন্দির থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনই বিহারের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারের পর জেরার মুখে জানান, কৃষ্ণসার হরিণ কেন শিকার করেছিলেন সালমান তার শাস্তি দিতেই অভিনেতাকে ভয় দেখান তারা।

মুম্বাই পুলিশ জানায়, তারা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। ভিকি সাহেব এবং শিরিযোগেন্দ্র কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার একটি জায়গা থেকে দুটি বাইক ভাড়া নেন। এরপর সালমানের খামারবাড়ি পানভেল এলাকার ভাড়াবাড়িতে বাইক দুটো এনে রাখেন তারা। ঘটনার দিন রোববার ভোরে ওই বাইকে করেই সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান তারা, যে দৃশ্য ধরা পড়েছে সালমানের বাড়ির সিসি ক্যামেরায়।

ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যোধপুরে একটি ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে যান সালমান খান। কেন কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করা হলো, তার শাস্তি সালমানকে পেতে হবে বলে এর আগে বহুবার বলতে শোনা যায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে।

পিএইচ