‘ময়দান’-এ মুগ্ধ হয়ে কী বললেন সৌরভ গাঙ্গুলী?
স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় ফুটবল দল। সেই বছর সামার অলিম্পিক হয় ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে। ভারতের বিরুদ্ধে ময়দানে নাম হাঙ্গেরি। ম্যাচের দিন তুমুল বৃষ্টি। ভিজে যায় পুরো ময়দান। কাদা মাঠে হাঙ্গেরির ফুটবলারদের পায়ে স্পাইক জুতো। আর উল্টো দিকে খালি পায়ে মাঠে ভারতীয় ফুটবলাররা। কী হবে সেই খেলার? এই সত্যি গল্পই ফুটে উঠেছে বড়পর্দায়। বৃহস্পতিবার ভারত জুড়ে মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ছবি ‘ময়দান’।
কিংবদন্তী রহিম সাহেবের ভূমিকায় অজয় দেবগনকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাইশ গজের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। যে কোনও স্পোর্টস ড্রামা নিয়েই ‘দাদা’র রিভিউ বরাবর নজরে থাকে। এবার বনি কাপুর প্রযোজিত ‘ময়দান’-এর মার্কশিটে ফুলমার্কস বসালেন সৌরভ।
বিজ্ঞাপন
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ‘ময়দান’-এর ছবি শেয়ার করে মহারাজ লিখেছেন, ‘ময়দান’ সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা একেবারে মিস করবেন না। ভারতের কিংবদন্তী ফুটবল কোচ সৈয়দ আবদুল রহিম এবং ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগকে যে দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে, তা দেখে আমি মুগ্ধ। আইকনিক ভারতীয় ফুটবল তারকাদের বড়পর্দায় জীবন্ত হয়ে ওঠার সাক্ষী রইলাম। এই স্পোর্টস ড্রামা মাস্ট ওয়াচ!
আরও পড়ুন
ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ, ১৯৫১-১৯৬২, ঠিক যেই সময় পায়ে বল নিয়ে ময়দানে দৌড়ে বেড়াতেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সৈয়দ আবদুল রহিম, সেই ঐতিহাসিক পিরিয়ডকেই সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে সিনেপ্রেমীদের কাছে তুলে ধরেছেন পরিচালক অমিত শর্মা।
সে সময়ে ভারতীয় ফুটবল যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল, নিঃসন্দেহে তার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন রহিম সাহেব। আধুনিক ভারতীয় ফুটবলের রূপকার হিসেবেও তার নাম উল্লেখ করা যায়।
এই ছবিতে অজয় দেবগন অভিনয় করছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে।
বক্স অফিসে কত আয় করল অজয়ের এই ছবি?
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) April 13, 2024
পয়লা সপ্তাহে দেশে মোটে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছে এই ছবি। হিসেব বলছে, একই দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ সারা বিশ্বে পয়লা দিনের আয় ৩৬ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। তুলনায় ‘ময়দান’ কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, প্রথম দিন অজয়ের ছবিটি মাত্র ৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। যার মধ্যে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এসেছে বুধবারের পেড প্রিভিউ থেকে।
এমএসএ