সেই মডেলের মরদেহ মিলেছিল খালে
নিউ দিল্লির গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে খুন হওয়ার ১২ দিন পর মডেল দিব্যা পাহুজার পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হরিয়ানার তোহনা এলাকায় ভাকরা খাল থেকে দিব্যার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভারতের পাঞ্জাবের সাবেক মডেল দিব্যা পাহুজা। গেল ২ জানুয়ারি দিব্যাকে পাঞ্জাবের গুরুগ্রামের একটি হোটেলে নিয়ে যান পাঁচ ব্যক্তি। এরপর সেখানে তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে তারা।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ বলছে, যে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে দিব্যাকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে, তাকে দিব্যা ব্ল্যাকমেলিং করছিলেন। এ ঘটনায় হোটেলের মালিক অভিজিৎ সিং ও তার সহযোগী মিলিয়ে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হত্যার পর একটি গাড়িতে করে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেটি পাঞ্জাবের ভাকরা খালে ফেলে দেওয়া হলে পানিতে ভেসে ভেসে প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যে চলে যায়।
গত এক সপ্তাহ ধরে পাতিয়ালার কাছে পুলিশের দুইটি টিম প্রায় ২০০ কিলোমিটার এলাকা তল্লাশি করে দিব্যার মরদেহের খোঁজে। এরপর শনিবার হরিয়ানার তোহনা থেকে গুরুগ্রাম পুলিশের একটি দল দিব্যার মরদেহ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর ছবি পাঠানো হলে বিষয়টি নিশ্চিত করে দিব্যার পরিবার। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গেল শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত রবি ভাঙ্গা নামে এক যুবককে। গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির খুনের অভিযোগের মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিব্যা। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। তারপরই দিব্যার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান সন্দীপের ভাই-বোন ও অভিজিৎ সিংয়ের নামে। তার মেয়েকে নাকি খুন করার চেষ্টা করছেন তারা।
সেসময় থেকে নাকি দিব্যার উপর রাগ অভিজিতের। ঘটনার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে। সন্দীপের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই মডেল। গত বছরই মুম্বাই আদালত থেকে জামিন পান দিব্যা। একবছর পরেই অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তিনি।
এনএইচ