একেই বোধহয় বলে কামব্যাক! দীর্ঘ চার বছর পর বড় পর্দায় দাঁড়িয়ে শাহরুখ প্রমাণ করে দিয়েছেন, এভাবেই ফিরে আসা যায়। এবার সিএনএন-নিউজ১৮ ইন্ডিয়ান অব দ্য ইয়ারের মুকুটও তারই মাথায়।

‘জিরো’ হিট করেনি। তারপরের চারবছর সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি তাকে।

মেঘের আড়ালেই থেকে গেছেন। হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইন্দ্রজিতের মতোই, বাণ মারার। এরপরেই ‘পাঠান’। চার বছর ধরে ঝিমিয়ে থাকা শাহরুখ ভক্তরা ছিটকে গেল এক লহমায়। ৫৭-বছরের লোকটা করছে কী! তবে তখনও ‘পিকচার অভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত’। বছরের মধ্য়ভাগে ‘জওয়ান’ আর শেষে ‘ডানকি’। তিনি পেরেছিলেন, প্রেক্ষাগৃহকে স্টেডিয়াম বানাতে। শাহরুখ খানের অভিনয়, তার উপস্থাপনাই ছিল সব ছবির মূল উপজীব্য। বছরের শুরু যার নামে, শেষটাও তার। কী বললেন তিনি?

সেই ভুবন-ভোলানো হাসি, দু-গালে টোল আর বুদ্ধিদীপ্ত ভঙ্গীমায় শোনা গেল অনভিপ্রেত কিছু শব্দ, কিছু কথা। শোনা গেল সেই চার বছরের অন্ধকারে কথা। শোনা গেল পাঠানের মুক্তির আগের ভয়ের কথা। 

‘আমিও ভয় পেয়েছিলাম। পাস্তা-পিজ্জা বানানো শিখছিলাম, যদি আর কাজ না পাই সেই ভয়ে। যাই হোক, সেটা কাজে লাগেনি।’ তার কথায় টাকা, বক্স-অফিস কিচ্ছু না। তার কাছে একটা শব্দেরই গুরুত্ব সবথেকে বেশি, ‘বিনোদন’। আর বারবার আরও যেটির কথা তিনি বলেছেন, তা হল পরিশ্রম। তার বিশ্বাস, প্রতিটা ভারতীয় তার সিনেমা দেখতে আসেন, এসেছেন। এমনকী যারা তাকে ভালোবাসে না, তারাও।

এসএম