নিউ দিল্লির গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে খুন হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক মডেল। তার নাম দিব্যা পাহুজা। পাঞ্জাবি এই মডেলকে খুন করেছেন হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং। খুনের পর দিব্যার মরদেহ পাচারের জন্য এক সহযোগীকে ১০ লাখ টাকা দেন ওই হোটেল মালিক।

হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) হোটেলের ১১ নম্বর রুমের দিকে যাচ্ছেন মালিক অভিজিৎ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন একজন পুরুষ ও মহিলা। সেই রুমেই খুন করা হয় দিব্যাকে। পরে তার মরদেহ টেনে-হিঁচড়ে বের করা হয় হোটেল থেকে। তোলা হয় একটি নীল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িতে। পুরো ঘটনাই ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, দিব্যাকে খুন করে তার দেহ পাচার করার জন্য সহযোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকা দেন অভিজিৎ। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ ও দুই সন্দেহভাজন প্রকাশ এবং ইন্দ্ররাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনেই অভিজিতের হোটেলে কাজ করতেন। 

কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিব্যা। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। তারপরই দিব্যার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান সন্দীপের ভাই-বোন ও অভিজিৎ সিংয়ের নামে। তার মেয়েকে নাকি খুন করার চেষ্টা করছেন তারা। 

সেসময় থেকে নাকি দিব্যার উপর রাগ অভিজিতের। ঘটনার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে। সন্দীপের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই মডেল। গত বছরই মুম্বাই আদালত থেকে জামিন পান দিব্যা। একবছর পরেই অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তিনি। 

এনএইচ