বাবা চারজন বয়ফ্রেন্ড রাখতে বলতেন : টুইঙ্কেল খান্না
বলিউড অভিনেতা রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না। যার আরও একটি পরিচয় তিনি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রী। আজ ২৯ ডিসেম্বর কিংবদন্তী অভিনেতা রাজেশ খান্নার ৮১তম জন্মদিন।
টুইঙ্কেল জানালেন, বাবার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ছিল সবসময় বন্ধুর মতো। নায়িকার ভাষায়, ‘অনেক বাবা-ই পুত্র সন্তানের আশা করেন। আমার বাবা সেটা করেননি। বরং তিনি আমার জন্মের পর মাকে বলেছিলেন, এটা ৩১তম জন্মদিনের সেরা উপহার।’
বিজ্ঞাপন
টুইঙ্কেল তার সঙ্গে বাবার সম্পর্কের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘উনি (বাবা রাজেশ খান্না) কখনোই আমাকে বেবি বলে ডাকেননি, সবসময় টিনাবাবা বলতেন। আমার বড় হওয়া আশেপাশের অন্যান্য শিশুদের থেকে অনেক আলাদা ছিল। কিশোর বয়সে আমার চারপাশে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। মেয়ে একদিন স্বামীর ঘরে চলে যাবে, এটা ভেবে কখনো আমাকে বড় করেননি।’
বাবা রাজেশ খান্নার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে টুইঙ্কেল বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথমবার আমি মদপান করেছিলাম। অ্যালকোহলে চুমুক দিয়েছিলাম। স্কচ অন দ্য রকস, যদিও সেটা আমার কাছে সেসময় বেশ ভারী ছিল।’
টুইঙ্কেল আরও বলেন, ‘যখন আমি প্রথম ডেটিং করা শুরু করি, তখনও বাবার কাছে পরামর্শ নিয়েছিলাম। বাবা আমাকে বলেছিলেন, তিনি এমন একজন সঙ্গী খুঁজছেন যে তার কোলে শুয়ে পড়বে আবার একসঙ্গে বসে বই পড়বেন। আমি হেসে বলেছিলাম, বাবা, এটা কখনোই সম্ভব নয়। তোমার প্রত্যাশা হাস্যকর।’
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী জানালেন- তার বাবা তাকে একসঙ্গে ৪ জন বয়ফ্রেন্ড রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই নায়িকার ভাষায়, ‘বাবা বলেন, একসঙ্গে চারজন বয়ফ্রেন্ড রাখো। তাহলে কখনো মনে আঘাত পাবে না।’
টুইঙ্কেল বলেন, ‘যদিও আমি বাবাকে কখনো বলিনি, যদি আমাকে আঘাত করার ক্ষমতা কেউ রাখে, সেটা একমাত্র উনিই, আমার বাবা।’
সবশেষ অক্ষয়পত্নী বলেন, ‘আমার বাবা হয়তো সেভাবে পাশে দাঁড়াননি, তবে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমার হাত ধরে রেখেছেন। আমি জানতাম, তার উপর নির্ভর করতে পারি। আমার প্রতি তিনি কখনোই বিশ্বাস হারাননি।’
এনএইচ