মা সিরিয়ালে ঝিলিকের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান তিথি বসু। ঘরে ঘরে মা-বোনদের মনে এখনো তিনি পরিচিত ঝিলিক নামেই। তবে সেই ঝিলিক এখন আর ছোট্ট নেই। কয়েকদিন আগেই ছিল তিথির জন্মদিন। ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। তবে একটি ছবি নিয়ে আপাতত তুমুল শোরগোল নেটপাড়ায়।

লেপার্ড প্রিন্টের একটি লং গাউন পরেছিলেন তিথি। সাইড স্লিট থেকে বেরিয়ে আছে সুঠাম পা। যদিও নেট-নাগরিকদের নজর আটকাল গিয়ে পাশে থাকা একটি সিগারেটের প্যাকেটে। রয়েছে একটি লাইটারও। আর তারপর থেকেই শুরু হলো ট্রোল।

একজন কমেন্টে লিখেছেন, সিগারেটের প্যাকেটটা তো সরাতে হত বোন। আরেকজনের কমেন্ট, ‘সিগারেটের প্যাকেট টা তো সরাতে হতো বোন। আরেকজনের মন্তব্য, আজকাল সিগারেট খাওয়াও শুরু করে দিয়েছো দেখছি।

কেউ কেউ তো আবার তিথির পোশাক নিয়েও ট্রোল করা শুরু করলেন। যদিও বেশিরভাগই মাত অভিনেত্রীর কার্ভি ফিগারে। ডেইলি ভ্লগে বেশ কয়েকবার ভাগ করে নিয়েছিলেন কীভাবে নিজের ফিটনেসে নজর রাখছেন। ডায়েট আর এক্সারসাইজে দিয়েছেন মন। যদিও ফুড ভ্লগিংয়ের কারণে বাইরের তেল-মশলাযুক্ত হাই ক্যালোরির খাবার খেতেই হয়। 

কয়েকদিন আগে রটেছিল তিথির বিয়ের খবর। খানিক মজা করেই তিনি লিখেছিলেন, ‘আইবুড়ো ভাত খেলাম’। আর সেখান থেকেই ধারণা হয় বুঝি বা এবারের শীতেই ঝিলিক বসবে বিয়ের পিঁড়িতে। যদিও পরে বোঝা যায়, এক রোস্তোরাঁর সঙ্গে কোলাবরেশনে এই শ্যুট। 

২০০৯ থেকে ২০১৪, প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মেগা ছিল মা। যা রাতারাতি বদলে দিয়েছিল তিথির জীবন। যদিও মাঝে হঠাৎই হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এখনো নতুন কোনো প্রোজেক্টে দেখা যায়নি তাকে। তবে ইউটিউবার হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে নিয়েছেন। 

জোশ টকসে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ছিলেন তখনই তার বাবা তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছিল মা ধারাবাহিকের কাজ। বাবা হঠাৎ ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন তার মা। ফলে সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয় তিথিকেই। 

বাড়ির ইলেকট্রিক বিল মেটানো থেকে শুরু করে কী রান্না হবে, কী বাজার হবে, সবটা সামলে পড়াশোনা চালিয়েছেন ছোট্ট তিথি। সঙ্গে পড়াশোনা। সেভিংসের টাকা দিয়ে চালিয়েছিলেন সংসার। 

কেএ