অক্ষয়-টুইঙ্কেলের সংসারের বয়স দুই দশকের বেশি। ২০০১ সালে প্রয়াত বলিউড তারকা রাজেশ খন্নার মেয়ে টুইঙ্কেলকে বিয়ে করেন অক্ষয়। 

বিয়ের আগে একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও টুইঙ্কেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে পুরোপুরি সংসারী অক্ষয়। বে স্ত্রীর সঙ্গে যে কোনো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয় না তার, তা নয়। স্বামী-স্ত্রীর রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। তার পরেও কী ভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন অক্ষয় ও টুইঙ্কেল? 

অক্ষয়ের রাজনৈতিক অবস্থান বলিউডে সুবিদিত। নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন তিনি। মোদি নিজে প্রশংসা করেছেন অক্ষয়ের সিনেমার। অন্য দিকে, টুইঙ্কেল এক সময় অভিনয় করলেও এখন লেখিকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তার রাজনৈতির মতাদর্শ অক্ষয়ের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। 
তারপরেও কী করে সুখে-শান্তিতে সংসার করেন যুগল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অক্ষয়। উত্তরে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আমার থেকে আলাদা। তবে আমরা একে অপরের উপর নিজেদের মত চাপিয়ে দিই না। আমরা চেষ্টা করি রাজনৈতিক আলোচনা যতটা এড়িয়ে চলা যায়। এটাই একমাত্র আলোচনার বিষয়, যেটা আমরা এড়িয়ে চলি। 

তবে কি সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য এটাই? অক্ষয়ের কথায়, অনেকেই বলেন, শান্তিতে সংসার করতে হলে সব বিষয়ে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে পারা জরুরি। আমার মনে হয়, কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। 

মোদি সরকারের প্রচার বাড়াতেই নাকি তিনি সিনেমা করেন, এমন অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে অক্ষয়ের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। অক্ষয় বলেন, আমি জানি অনেকেই ভাবেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রচার বাড়াতে আমি ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ সিনেমা করেছিলাম। ভারতের মার্স মিশন অবলম্বনে ‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমা করেছিলাম। বিষয়টা এমন নয়। আমি ‘এয়ারলিফ্‌ট’-এর মতো সিনেমাও করেছি, তখন কংগ্রেসের সরকার ছিল। 

এনএফ