প্রযোজনা করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছিলেন সানি
বলিউডে এই মুহূর্তের অন্যতম আলোচিত অভিনেতা সানি দেওল। বক্স অফিসে দীর্ঘ দিনের খরা কাটিয়ে চলতি বছরে ‘গদর ২’-এর মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। সেই সাফল্যের মাঝেও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ‘সানি ভিলা’র নিলাম।
বর্তমানে ছবিনির্মাতা থেকে দর্শক, সবার মুখে মুখে ঘুরছে ‘গদর ২’-এর বক্স অফিস সাফল্য। গত ১১ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সানির অভিনীত এই ছবি। মাসের শেষে এসে ছবির বক্স অফিস আয়ের অঙ্ক ৫০০ কোটি ছুঁইছুঁই। দীর্ঘ দিনের বক্স অফিস খরার পরে এমন সাফল্যের মুখ দেখেছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। ‘গদর ২’-এর এই সাফল্যে পরের ছবিতে কাজ করার উৎসাহও পেয়েছেন সানি। তবে আপাতত অভিনয়ের ক্ষেত্রেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান তিনি। প্রযোজনা নিয়ে নাকি এই মুহূর্তে ভাবছেন না অভিনেতা। কিন্তু কেন?
বিজ্ঞাপন
‘গদর ২’-এর সাফল্যের মাঝেই খবর মিলেছিল, মুম্বাইয়ের জুহুতে অবস্থিত ‘সানি ভিলা’ নাকি নিলামে তুলতে চলেছে ব্যাংক। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জারি করা নোটিসে জানানো হয়েছিল, ৫৫ কোটির টাকা ঋণ নিয়ে নাকি তা শোধ করতে পারেননি বলিউড অভিনেতা। ঋণের সেই টাকা ফেরত পেতে ৫৬ কোটি টাকায় ‘সানি ভিলা’ নিলামে তোলার নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। যদিও ওই নোটিশ জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহারও করে ব্যাংক। পরে ‘সানি ভিলা’ ও তার নিলাম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা নিয়ে বেশি আলোচনা করা থেকেও সংবাদমাধ্যমকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন সানি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ‘গদর ২’-এর সাফল্যের পরে এবার অভিনয়েই মন দেবেন তিনি। আরও জানান, ছবি প্রযোজনা করতে গেলেই নাকি তিনি দেউলিয়া হয়ে যান।
সানি বলেন, ‘অনেক বছর আগে আমি যখন প্রযোজনা শুরু করি, তখন বিনোদনের ব্যবসাটা অন্য রকম ছিল। আমরা যাদের সঙ্গে ব্যবসা করেছি, তারা সবাই আমাদের চেনা-পরিচিতের গণ্ডির মধ্যে। এখন ব্যবসাটা অনেক বেশি জটিল।
১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ সানির। সেই সময়েই ‘বিজেতা ফিল্মস’ প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেন ধর্মেন্দ্র। ১৯৯০ সালে সানির ‘ঘায়েল’ ছবিও প্রযোজনা করে ‘বিজেতা ফিল্মস’। ১৯৯৫ সালে ‘বিজেতা ফিল্মস’ প্রযোজিত ‘বর্ষাত’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় ববি দেওলের। ১৯৯৯ সালে ওই প্রযোজনা সংস্থার রাশ হাতে নেন সানি। নিজের পরিচালিত ছবি ‘দিললগি’-র প্রযোজকও ছিল ‘বিজেতা ফিল্মস’। ২০১৯ সালে ‘বিজেতা ফিল্মস’ প্রযোজিত ‘পল পল দিল কে পাস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সানির বড় ছেলে কর্ণ দেওল। ছবি পরিচালনা করেছিলেন সানি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই ছবিও।
এমএ