২০১০ সালে ‘বীর’ ছবিতে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিপরীতে অভিষেক ঘটে জেরিন খানের। প্রথম দেখাতেই যে কেউ বলবে, এ তো ক্যাটরিনা কাইফ! অবশ্য সেসময় অনেকেই দুজনকে গুলিয়ে ফেলত। প্রথমদিকে ব্যাপারটি উপভোগ করলেও এখন সেটিকেই নিজের ক্যারিয়ারের জন্য অভিশাপ ভাবছেন জেরিন।

এ অভিনেত্রী জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ক্যাটরিনার সঙ্গে তার তুলনা করা হলে মন থেকে খুশি হতেন। ক্যাটরিনার ভক্ত জেরিন। সুতরাং সুন্দরী ক্যাটের মতো দেখতে, একথা শুনতে তার ভালো লাগত। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়।

সম্প্রতি ভক্তদের যেমন খুশি প্রশ্ন করোর সুযোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সেখানে একজন জানতে চান, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ক্যাটরিনার সঙ্গে আপনার তুলনা হয়েছে, সেটা কীভাবে আপনার ক্যারিয়ারকে প্রভাবিত করেছে?’

উত্তরে জেরিন বলেন, ‘আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করি, তখন আমি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া শিশু ছিলাম। আমার কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তাই ক্যাটরিনার সঙ্গে তুলনা শুনে আমার বেশ ভালো লাগত, আমিও ওনার ভক্ত। ক্যাটরিনাকে আমার দারুণ লাগত। কিন্তু এই তুলনাটাই আমার ক্যারিয়ারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। ইন্ডাস্ট্রির লোকজন আমাকে নিজস্বতা প্রমাণের সুযোগই দিল না কখনো।’

হিন্দির পাশাপাশি পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু ছবিতেও কাজ করেছেন জেরিন খান। কিন্তু সর্বত্রই ক্যাটরিনার ‘কপিক্যাট’ হিসেবে তাকে নিয়ে চর্চা চলেছে। অনেকে ‘ফ্যাটরিনা’ বলেও ট্রোল করেছেন অভিনেত্রীকে।

অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জেরিন জানিয়েছিলেন, ‘বীর’ ছবির সময়ে নির্মাতারা তাকে ওজন বাড়াতে বলেছিলেন। কারণ, অষ্টাদশ শতাব্দীর রাজকুমারী হিসেবে তেমনই শরীরী গড়ন তারা চেয়েছিলেন। সেটা লোকে ভালো চোখে দেখেনি। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাকে ‘ফ্য়াটরিনা’ বলে কটাক্ষ করা হতো। মিডিয়াতেও তখন তাকে নিয়ে ভালো কিছু লেখা হয়নি।

‘হাউসফুল ২’, ‘হেট স্টোরি ৩’, ‘আকসার ২’, ‘১৯২১’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন জেরিন খান। শেষবার তাকে দেখা গেছে ‘হাম ভি একেলে, তুম ভি একেলে’ ছবিতে। বর্তমানে সিনে পর্দায় অনুপস্থিত এ নায়িকা।

কেএইচটি