একাধিকবার নভনীতকে চুমু খেতে বাধ্য করেছিলেন আমির
নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’। আমির-জুহির এই ছবি মুক্তি পর কেটে গেছে প্রায় তিন দশক। সিনেমাটির প্রতিটি গান, সংলাপ আজও সমান জনপ্রিয় দর্শকের কাছে।
ছবিটি মুক্তির ৩০ বছর পূর্তিতে একগুচ্ছ অজানা তথ্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী নভনীত নিশান। যাকে এই সিনেমায় আমিরের বাগদত্তার চরিত্রে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
নভনীতের ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকের ছবি ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’। আমির খান ও জুহি চাওলার মতো দুই সুপারস্টারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ ছিল তার কাছে বিশেষ কিছু।
কিন্তু অভিনয়ের সময় প্রচণ্ড নার্ভাস ছিলেন নভনীত। সিনেমার একটি দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের কথা স্মরণ করে নভনীত জানান, গল্প অনুসারে সিনেমায় আমিরের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হওয়ার পরে তার গালে চুমু খাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর।
যেই চুমুর দৃশ্যর পর আমিরের গালে নভনীতের ঠোঁটের লিপস্টিকের গাঢ় দাগ হয়ে থাকবে। ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যত তারকা আমির পরবর্তী শটগুলোতেও যেন নভনীতের ঠোঁটের ওই লিপস্টিকের দাগ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে অভিনেত্রীকে সেদিন বারবার চুমু খেতে বলেছিলেন। নভনীতও নায়কের সেই আদেশ অনুযায়ী কাজ করে গেছেন। ওইদিন আমিরকে প্রায় ৭-৮ বার চুমু খেয়েছেন তিনি।
নায়িকার ভাষ্য, ‘ওইদিন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে মনে হয়েছে, আমি তো লটারি হাতে পেয়ে গেছি। সারাদিন শুধু আমিরকে চুমু খেয়েছি।’ যদিও এই শটটি শেষ পর্যন্ত রাখা হয়নি ছবিতে। ফলে খানিকটা আফসোস থেকে গেছে এই অভিনেত্রীর।
১৯৯৩-এর অন্যতম বক্স অফিস সফল ছবি ছিল ‘হাম হ্যায় রাহি প্য়ায়ার কে’। এই সিনেমার পাশাপাশি আমিরের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন নভনীত। যার মধ্যে অন্যতম ‘রাজা হিন্দুস্তানি’। আমির-করিশ্মার এই ছবিতে কম্মো-র চরিত্রে দর্শক দেখেছিল নভনীতকে।
এছাড়াও ‘একেলে হাম একেলে তুম’, ‘মেলা’র মতো ছবিতেও আমিরের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন নভনীত। শেষবার পাঞ্জাবি ছবি ‘আরদাব মুটিয়ারা’তে পর্দায় দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। তিন দশক দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও কাজ করেছেন নভনীত।
এনএইচ