দাম্পত্যজীবনের প্রায় দুই যুগ কাটিয়ে ফেলেছেন বলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কেল খান্না। এই দীর্ঘ পথচলায় বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একসঙ্গে সুখের সংসার গড়েছেন। কিন্তু শুরুটা হলো কীভাবে? কেনই বা অক্ষয়কে বিয়ে করতে রাজি হলেন, জানালেন টুইঙ্কেল।

এক পত্রিকার ফটোশুট করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। তারপর সেই প্রেম গড়ায় বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত। টুইঙ্কেল-অক্ষয় যে একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, একথাও অনেকে মেনে নেন।

ক্যারিয়ারের শুরু দিকে বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে নাম জড়ায় অক্ষয়ের। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। কোনো প্রেম সেটেই শেষ হয়ে যায়, আবার কোনো প্রেম বাগদান পর্যন্ত গড়িয়েও ভেঙে যায়। তাই টুইঙ্কেলের সঙ্গেও সম্পর্কটা ছাঁদনাতলা পর্যন্ত পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল।

অক্ষয়ের যে গুণে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ের জন্য সায় দিয়েছিলেন, সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এনেছেন টুইঙ্কেল। স্বামীকে জড়িয়ে ধরে একটি ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘মিস্টার কে-কে বিয়ে করার অন্যতম কারণ, জানতাম ও খুব ভালো বাবা হবে। দেখেছিলাম কীভাবে ও নিজের পরিবারের খেয়াল রাখে। চেয়েছিলাম যেন আমার ছেলে-মেয়েরা এই বংশগত গুণ পাক। আর পঞ্চাশ বছরের এই মানুষটাকে যখন এখন দেখি, ভাবি আমার ছেলে-মেয়েরা ভাগ্যবান হবে যদি সত্যিই ওর থেকে কিছু পায়। ও সব সময় নিজের পরিবারকে নিজের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।’

একসময়ে অভিনয়ে চরম ব্যস্ত থাকলেও সংসার-সন্তানের দিকে তাকিয়ে ছেড়েছেন রুপালি পর্দার মোহ। নিজেকে লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন টুইঙ্কেল। অবশ্য অক্ষয় এখনো সমানতালে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি মালাবদল করেন অক্ষয়-টুইঙ্কেল। তাদের কোল আলো করে এসেছে ছেলে আরাভ কুমার ও মেয়ে নিতারা কুমার।

কেএইচটি