দর্শক টানছে সোনাক্ষীর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘দাহাদ’
ওয়েব সিরিজের মধ্যে থ্রিলারই প্রথম পছন্দ বেশিরভাগ দর্শকের। আর সেটি যদি কপ থ্রিলার অর্থাৎ পুলিশ কর্মীদের নিয়ে বানানো হয় তবে দর্শক একেবারে মুখিয়ে থাকেন সেটি মুক্তির আশায়। এদিকে সোনাক্ষী সিনহার প্রথম ওয়েব সিরিজ ডেবিউ নির্মিত হয়েছে পুলিশের গল্প নিয়ে। তাই অ্যামাজন প্রাইমের নতুন সিরিজ ‘দাহাদ’র মধ্যে দর্শক টানার সব উপাদানই মজুত রয়েছে।
অন্যান্য সিরিজের সঙ্গে দাহাদকে অনেকভাবে আলাদা করা যায়। অন্যান্য থ্রিলারের মতো এই ছবিতে কোনও সাইকোপ্যাথ নেই, তেমন সাংঘাতিক মারামারির কোনও অ্যাকশন দৃশ্য নেই, এমনকি কোনও দর্শককে উত্তেজিত করার মতো ধাওয়া করার দৃশ্যও নেই। তবে যেটা আছে সেটাকে ফেলুদার ভাষায় বললে হতো ‘মগজাস্ত্র’। রিমা কাগতি ও জোয়া আখতার যত্ন করে গড়ে তুলেছেন সোনাক্ষীর পুলিশ অফিসার অঞ্জলি ভাটি চরিত্রটি।
বিজ্ঞাপন
যেকোনও থ্রিলার তখনই টানটান হয় যখন অপরাধের গভীরে যাওয়া শুরু হয়। ঠিক সেই কাজটাই শুরু থেকেই করেছেন সোনাক্ষীর চরিত্রটি। রাজস্থানের মাণ্ডাওয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে রয়েছেন অঞ্জলি। সেখানেই পাবলিক টয়লেটে ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক আত্মঘাতী হওয়া মহিলার মৃতদেহ আবিষ্কার হতে থাকে পরপর। সেই ঘটনাগুলো প্রতিটি একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনটাই অনুমান করেন সোনাক্ষী। সবগুলো আত্মহত্যার মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ প্যাটার্ন, মনে করেন অঞ্জলি।
আটটি পর্বের সিরিজের প্রথম দুটি পর্বের মধ্যেই দর্শক জেনে ফেলেন যে অপরাধী আসলে কে। তবে সেই মানুষকে চিহ্নিত করতে পেরোতে হয় আরও অনেকগুলো পর্ব। পাশাপাশি, একজন মহিলা পুলিশকে উর্দি গায়ে চড়ানোর পর যে কত রকমের সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়, এই সিরিজে সেটিও ফুটিতে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে সোনাক্ষী, বিজয় বর্মা, সোহম শাহ অভিনীত দাহাদের টানটান আট পর্ব উপভোগ করবেন মনস্তাত্বিক থ্রিলার পছন্দ করা দর্শকরা।
কেএ