ফের দিল্লির আদালতে জ্যাকলিন
কনম্যান সুখেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। এখন তাকে সিনেমা পর্দার চেয়ে আদালতের বারান্দাতেই বেশি দেখা যায়। এরমধ্যে জুটেছে মানহানির আরেকটি মামলা। মোটকথা, আর্থিক প্রতারণায় মামলায় নাম জড়িয়ে রীতিমতো নাকাল এই নায়িকা।
২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে পৌঁছান বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। এই মুহূর্তে এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত রয়েছেন জ্যাকলিন। সম্প্রতি এই মামলায় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে (জেলা দায়রা আদালত) ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন অভিনেত্রী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জ্যাকলিনের বয়ান রেকর্ড করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিন আদালতে আসার কারণ তার ভ্রমণ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নেওয়া। জানা গেছে, চলমান তদন্তের মধ্যেই ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন অভিনেত্রী। তার আবেদন অনুযায়ী তিনি ২৩ ডিসেম্বর বাহরাইন ভ্রমণ করবেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর বরাতে, আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) আবেদনের নির্দেশ দিয়েছে। তারা এখনও এই বিষয়ে উত্তর দেয়নি। জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাহরাইন ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন করেছেন। আদালত ইডিকে একটি উত্তর দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে এবং ২২ ডিসেম্বরের জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করেছে।
এদিকে আর্থিক প্রতারণার মামলা ছাড়াও সম্প্রতি আরও একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন জ্যাকলিন। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নোরা ফাতেহি। তবে শুধু জ্যাকলিন নন, এই মানহানির মামলায় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের নামও এনেছেন নোরা। তবে মূল অভিযুক্ত হিসাবে জ্যাকলিনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
নোরা তার অভিযোগে লেখেন, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ নিছক সাদামাটা মানহানিই করেননি, রীতিমতো ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। নিজের স্বার্থে আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। কারণ আমরা দুজন একই ইন্ডাস্ট্রিতে মোটামুটি একই ধরনের কাজ করে থাকি। অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে এটা মুখ্য।’ নোরার করা এই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি।
কেএইচটি