‘নীতুর থেকে শিখুন’, জয়াকে নেটিজেনদের পরামর্শ!
বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন ও নীতু কাপুর। চলচ্চিত্রে দুজনের পথচলা শুরু একই দশকে। বয়সও অনেকটা কাছাকাছি— কিন্তু আচরণে দুজনের দূরত্ব যোজন যোজন। একজন উত্তর মেরুর বাসিন্দা হলে আরেকজন যেন দক্ষিণ মেরুর। পাপারাজ্জি দেখলে একজন যান তেড়ে, আরেকজন জিজ্ঞেস করে কেমন আছিস রে? এই জিনিসটাই আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন নেটিজেনরা।
পাপারাজ্জি দেখলেই চটে যান, একপ্রকার তেড়ে যান বললেও ভুল হয় না। আর এটা একবার, দুবার নয়, বহুবার ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই সব ভিডিও দেখে তা নিয়ে জয়া বচ্চনকে ট্রলও কম করেনি নেটপাড়া। তবে তাতে ‘থোড়াই কেয়ার’ জয়া বচ্চনের। জয়া আছেন জয়াতেই। আর জয়ার এই ব্যবহারের জন্যই তাকে নীতু কাপুরের কাছ থেকে শেখার পরামর্শ দিলেন নেটপাড়ার নাগরিকরা। কিন্তু কেন? কী-ই বা ঘটেছে?
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি, আলিয়া-রণবীরের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাতনিকে দেখতে হাসপাতালে ঢুকছিলেন নীতু কাপুর। ঢোকার মুখে নীতুকে ঘিরে ধরে পাপারাজ্জির ক্যামেরা। তবে রণবীরের মা বিন্দুমাত্র বিরক্ত হননি। পাপারাজ্জি দেখেই দাঁড়িয়ে পড়েন নীতু। তারই মধ্যে পরিচিত একজনকে দেখে আন্তরিকভাবেই প্রশ্ন করেন, ‘আরে, তুই কেমন আছিস?’ তিনি ঠিক আছে জানালে নীতু বলেন, ‘আচ্ছা, হাত ঠিক আছে তো?’ খুব সম্ভবত হাতে চোট লেগেছিল ওই ব্যক্তির। এখানেই অন্যান্যদের প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
নীতু কাপুরের এমন নমনীয় ব্যবহারে মুগ্ধ নেটপাড়া। আর তারা মনে করছেন, ‘জয়া বচ্চনের নীতুর থেকে শেখা উচিত’। একজন লিখেছেন, ‘কী অসাধারণ, সকলের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ। একজন রিপোর্টারের চোট নিয়েই প্রশ্ন করছেন। এতেই বোঝা যায়, উনি জানেন মিডিয়াকে কীভাবে সামলাতে হয়।’ আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘জয়া বচ্চনের উচিত এগুলো খেয়াল করা।’ কারোর আবার মন্তব্য, ‘দেখুন জয়া বচ্চন ও নীতু সিংয়ের মধ্যে কত পার্থক্য।’ কারোর কথায়, ‘জয়া বচ্চনের মতো অধৈর্য নন উনি।’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
সূত্র : জি ২৪ ঘন্টা