রকস্টার সিনেমার হির চরিত্র দিয়ে মানুষের নজর কাড়নে নার্গিস ফাখরি। তারপর একে একে মাদ্রাজ ক্যাফে, ম্যায় তেরা হিরো, হাউসফুলের মতো সিনেমায় দর্শকের মন জিতেছেন।

সিনেমার সাথে নিজেকে জড়ানোর আগে নার্গিস ছিলেন সরল-সাদাসিধে মানুষ। ইন্ডাস্ট্রিতে এসে একরকম বিপদে পড়েছিলেন। অনেক কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে হয়েছিল তাকে। এখনও অনেক ক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। নতুন অবস্থায় কিভাবে মানিয়ে নিতে হচ্ছিল নার্গিসকে? 

এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে নার্গিস বললেন, আমি জানতামই না, কিভাবে নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। এতটাই সৎ আর সরল ছিলাম যে, কূটকৌশল বুঝতাম না। কিন্তু মুখ লুকিয়ে থাকলেও যে চলে না। বহু মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে সব রকম পরিবেশে কথা বলতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন ছিল লোকদেখানো সৌজন্যবোধ, সেই কাজটা আমি তেমনভাবে পারিনি। আমাকে সবাই বেমানান হিসাবেই চিনেছিল। রোজ পালিয়ে যেতেও ইচ্ছে হতো।

এখন নার্গিস জানেন, ইন্ডাস্ট্রির মানুষের তিন রকম সত্তা। তারা কখনও ব্যবসায়ী, কখনও শিল্পী আবার কখনও ঘরোয়া মানুষ। এর মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। টানা আট বছর পড়ে ছিলেন মুম্বাইয়ে। এক বারও পরিবারের কাছে ফেরার সময় পাননি। 

নার্গিসের কথায়, নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। হয়তো অবসাদও এসেছে। নিজেকে প্রশ্ন করেছি বহু বার, এখনও কেন পড়ে আছি? দু’বছরের বিরতি নিয়েছিলাম, নিজেকে সুস্থ করতে। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যোগাভ্যাস করতাম। ধ্যান করতাম। তার পর আবার ফিরে আসি। 

এনএফ