ভারতীয় সিনেমায় এখন রাজত্ব করছে দক্ষিণ ভারতের ছবি। অবলীলায় কথাটা বলা যায়। ‘কেজিএফ ২’ ছবিতে কাজ করেছেন সঞ্জয় দত্ত। সেই ছবি ইতোমধ্যে বক্স অফিসে সুনামী এনেছে। কয়েক দিন আগে রাজামৌলি পরিচালিত, এনটিআর জুনিয়র, রাম চরণ অভিনীত ছবি ‘আরআরআর’-ও বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। নিজে দক্ষিণী ছবিতে কাজ করার পর, সঞ্জয় দত্ত কী মনে করছেন, কেন হিন্দি ছবির তুলনায় দক্ষিণী ছবির দিকে দর্শক ঝুঁকছেন? 

সঞ্জয় বলেন, হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তাদের নিজেদের ছবির ধারা ভুলে গিয়েছে, দর্শকদের ভুলে গিয়েছে। তারা এখন শুধু ব্যবসা বুঝেন। হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এক সময় লার্জার দ্যান লাইফ নায়ক নির্ভর ছবি তৈরি করত। এখন অন্য ধারার ছবি করে। অন্য দিকে দক্ষিণী ছবি আজও নায়কতন্ত্রের বিষয় ভোলেনি। আমি বলছি না, অন্য রকম ছবি খারাপ, কিন্তু আমাদের আমাদের উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুললে চলবে না। এই জায়গায় একটা বিশাল দর্শক রয়েছেন, যারা হিরোইজম ছবি দেখতেই পছন্দ করেন।

‘কেজিএফ ২’ সফল হওয়ার পিছনে সঞ্জয়ের যুক্তি শুধু ব্যবসা নয়, দক্ষিণের ছবি ভাল চিত্রনাট্যের উপর কাজ করে। আর ওখানে প্রযোজকরা পরিচালকের উপর ভরসা করেন। যেমন রাজামৌলির স্থায়ী প্রযোজক রয়েছেন। মুম্বাইতেও এক সময় গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই, যশ জোহরের মতো প্রযোজক ছিলেন। তারা কী ধরনে ছবি করতেন, সেটার দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। এখন হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কর্পোরেটাইজেশন হয়ে গিয়েছে। তার মতে, সেটা খারাপ নয়, তবে তারা যেন সিনেমার বিষয়ে নাক না গলান, এটা দেখতে হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন সঞ্জয়।  

‘অগ্নিপথ’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তকে একেবারে অন্য লুকে দেখা গিয়েছিল। কাঞ্চা চিনা আর অধীরার মধ্যে মিল বা অমিল কী? সঞ্জয় মনে করেন, দুটো চরিত্রের চাওয়া-পাওয়া এক। কাঞ্চার মান্ডওয়ার অধিকার নেওয়ার ছিল, অধীরার কোজিএফ। বাকি দুটো চরিত্রের কোনও মিল নেই। অধীরা নিজের অধিকার পেতে যে কোনও কিছু করতে পারে। দক্ষিণে বরাবরই সঞ্জয় দত্তের অনুরাগী রয়েছেন। কয়েক বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে একটি জিমের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য দরজা ভেঙে ছিল অনুরাগীরা। এবার তার ছবি দেখতে কী কী করতে পারেন তারা, তা বোঝাই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, মাটিতে বসেও দক্ষিণের সিনেমা হলে ‘কেজিএফ ২’ দেখেছেন অনেকে।

আইএসএইচ