সালমানের ফার্মহাউজে মরদেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ তাহলে কি সত্য?
গত জানুয়ারিতে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন কেতন কাক্কার নামের এক প্রতিবেশী। তিনি দাবি করেন, সালমানের ফার্মহাউজে শিল্পীদের মরদেহ পুঁতে রাখা হয়। হিন্দি সিনেমার বেশ কয়েকজন শিল্পীর মরদেহ নাকি সেখানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
ওই অভিযোগ ওঠার পর চারদিকে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যায়। বিতর্কের ঝড় শুরু হয়। এরপর কেতনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন সালমান। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাই আদালত। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেতনের অভিযোগ কি তাহলে সত্যি?
বিজ্ঞাপন
মুম্বাই থেকে কিছুটা দূরে পানভেলে অবস্থিত সালমানের ওই ফার্মহাউজ। পাহাড়ি ওই এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে ফার্মহাউজটি গড়ে তুলেছেন ভাইজান। করোনাকালীন পুরোটা সময় তিনি সেখানে ছিলেন। তার পরিবার ও বলিউডের অনেকেই প্রায়শ এখানে আসেন। পার্টি করেন।
এই ফার্মহাউজের পাশেই কেতন কাক্কারের জায়গা রয়েছে। তার অভিযোগ সেই জায়গা দখল করতে চাইছেন সালমান। এটা নিয়ে সালমানকে নোটিশও পাঠান কেতন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাল্লুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলেন। মরদেহ পুঁতে রাখা ছাড়াও ফার্মহাউজে শিশু পাচারের মতো অপরাধও হয় বলে দাবি করেন এই ব্যক্তি।
তখন সালমানের আইনজীবী প্রদীপ গান্ধী বলেছিলেন, প্রমাণ ছাড়াই এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে এবং সালমানের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই মানহানির মামলা করেন ভাইজান।
কিন্তু আদালতের সর্বশেষ রায় গেল কেতনের পক্ষে। বিচারক জানিয়েছেন, স্বপক্ষে যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন কেতন। কিন্তু সালমানের আইনজীবী মানহানির কোনো যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। সেজন্য মামলাটি খারিজ হয়েছে।
প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসছে মরদেহ পুঁতে রাখার অভিযোগটি। বলাবলি হচ্ছে, প্রতিবেশী কেতনের সেই অভিযোগগুলো তাহলে কি সত্যি? তা এখনই স্পষ্টভাবে বলা মুশকিল। কেননা এ বিষয়ে এখনো কোনো তদন্ত হয়নি। আপাতত তাদের জমি বিষয়ক কাগজপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। সেগুলোর প্রেক্ষিতেই রায় দিয়েছেন।
কেআই/আরআইজে