‘জলবায়ু বাঁচাতে চলো নদীর কাছে যাই’- এমন স্লোগানে শুরু হয়েছে একটি ব্যতিক্রম আয়োজন। যেখানে পারফর্ম করবে দেশের জনপ্রিয় ৭টি ব্যান্ড। নদী বাঁচানোর এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নদী রক্স’।

‘চিরকুট’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও গায়িকা শারমিন সুলতানা সুমির ভাবনায় ও সল্ট ক্রিয়েটিভসের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্যোগটির সার্বিক সহযোগিতায় আছে সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; সুইজারল্যান্ড দূতাবাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জী, স্কয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ আরও অনেকে।

এছাড়া এতে অংশ নেওয়া ব্যান্ডগুলোও ছিল ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ব্যান্ডগুলো হলো- আর্ক, ক্রিপটিক ফেইট, চিরকুট, আরবোভাইরাস, বাংলা ফাইভ, এফ মাইনর ও স্মুচেস। জানানো হয়েছে, জলবায়ু ও নদী রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করতে এবং তরুণ প্রজন্মকে নদী সম্পর্কে সচেতন করতে দেশের সকল নদীর নামে একটি করে গান থাকবে এই আয়োজনে।

‘নদী রক্স’-এর সার্বিক বিষয় নিয়ে শারমিন সুলতানা সুমি বলেন, ‘এর প্রথম সিজনে দেশের ৭টি জনপ্রিয় ব্যান্ড ৭টি নদী পদ্মা, কুশিয়ারা, সাঙ্গু, চিত্রা, পশুর, ডাহুক ও বুড়িগঙ্গা নিয়ে তৈরি করবে ৭টি গান এবং সেই নদীগুলোতেই চিত্রায়ণ হবে গানগুলোর। পরবর্তী সময়ে এই ব্যান্ডগুলো নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে নদী রক্স মেগা কনসার্টসহ নদীগুলোকে ঘিরে বিভিন্ন রকম ক্রিয়েটিভ পরিকল্পনা রয়েছে।’

ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগের তুলনায় মানুষের মাঝে নদীর প্রতি ভালোবাসা অনেকটাই কমে গেছে। অথচ এই নদীকে ঘিরে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান। দেশের মধ্যে ১৩২০টি নদী থাকলেও বর্তমানে হারাতে হারাতে ৭২০টিতে পৌঁছেছে। আমাদের এই অমূল্য সম্পদ নদী সম্পর্কে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাগ্রত করতে হবে। তার জন্য সংগীত একটি বড় মাধ্যম হতে পারে। তাই নদী বাঁচাতে নদী রক্স-এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যমণিও হতে পারে আয়োজনটি।’

কেআই