বাপ্পা মজুমদার: এক মুগ্ধতার নাম
আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের নন্দিত গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদারের জন্মদিন। এদিন ৫০ বছর পূর্ণ করে ৫১’তে পা দিলেন এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।
বাপ্পার পারিবারিক নাম শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা। ১৯৭২ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতবিশারদ ওস্তাদ বারীণ মজুমদার। মা ইলা মজুমদার। তাদের দুজনই এখন প্রয়াত।
বিজ্ঞাপন
ছোটবেলাতেই সংগীতে হাতেখড়ি সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়া বাপ্পার। বড় ভাই পার্থ মজুমদারের কাছেই গিটার বাজানো শিখেছেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘তখন ভোর বেলা’ দিয়ে সংগীতজগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। যা শ্রোতামহলে বেশ প্রশংসিত হয়।
পরের বছর প্রয়াত সংগীত ব্যক্তিত্ব সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। ১৯৯৭ সালে প্রকাশ পায় বান্ডটির প্রথম একক অ্যালবাম ‘আহ!’। অ্যালবামটির একাধিক গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
একক ক্যারিয়ার এবং ব্যান্ড দুটির মাধ্যমেই দুই যুগের বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। যখন যেভাবেই গান করেন না কেন বাপ্পার গান মানেই শ্রোতাদের কাছে বিশেষ কিছু। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজ অবধি সবসময়ই নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে কাজ করছেন এই তারকা। কণ্ঠের পাশাপাশি গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজনে দিয়ে যাচ্ছেন শুদ্ধতার স্বাদ। আর সে কারণে সমালোচকদের কাছেও তিনি ভীষণ প্রিয়।
জন্মদিনে বাপ্পা জানিয়েছেন, সংগীত নিয়ে তার অনেক ভাবনা আছে, ভবিষ্যতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চান। সামনে অনেক বেশি ফিল্ম ওরিয়েন্টেড কাজ করার ইচ্ছা তার। ফিল্মের স্কোরিং করতে চান। তার ভীষণ ইচ্ছা, একটি গানের স্কুল করার।
২০১৮ সালের ২৩ জুন অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা তানিয়া হোসনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাপ্পা। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুজনের সংসার আলো করে জন্ম নেয় একমাত্র কন্যা সন্তান অগ্নিমিত্রা মজুমদার পিয়েতা।
দীর্ঘ ক্যায়িারে বাপ্পা মজুমদার উপহার দিয়েছেন-‘পরী’, ‘বাজি’, ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘সূর্যস্নানে চল’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘বৃষ্টি পড়ে’, ‘চাইছো যখন’, ‘জানালার গ্লাস’-এর মতো জনপ্রিয় সব গান।
২০১৮ মুক্তি পাওয়া ‘সত্তা’ সিনেমার ‘না জানি কোন অপরাধে’ শিরোনামে গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। পেয়েছেন চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক সম্মাননা। তবে এই সংগীত সাধকের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার অগণিত ভক্তের ভালোবাসা।
আরআইজে