দুবাই গেলেন ইলিয়াস, সুবাহ বললেন ‘শেষ দেখে ছাড়ব’
গোপনে বিয়ে, অতঃপর প্রকাশ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করে আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। গত বছরের ১ ডিসেম্বর তারা ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন। এর কয়েকদিন পর সেটা প্রকাশ্যে আনেন।
কিন্তু সুখবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে উন্মোচিত হয় নানা বিতর্ক। জানা যায়, ইলিয়াস তার দ্বিতীয় স্ত্রী করিন নাজকে ডিভোর্স না দিয়েই সুবাহকে বিয়ে করেছেন। প্রথম দিকে ইলিয়াস ও সুবা দু’জনেই করিনকে দোষারোপ করেন।
বিজ্ঞাপন
তবে পরক্ষণে তারা দু’জনেই হয়ে ওঠেন একে-অপরের প্রতিপক্ষ। ইলিয়াস অভিযোগ তোলেন, সুবাহ তাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন। এমনকি বিয়ের পর তার গায়েও নাকি হাত তুলেছেন। অন্যদিকে সুবাহর অভিযোগ, ইলিয়াস তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।
এসব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই সুবাহর বাসা থেকে চলে যান ইলিয়াস। এরপর থানায় গিয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সুবাহ। ৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়েরের পর আদালত আগামী ১৯ জানুয়ারি এর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মামলা চলমান অবস্থায় দুবাই উড়াল দিয়েছেন ইলিয়াস। সেখানে গিয়ে একাধিক পোস্ট দিতেও দেখা গেছে গায়ককে। জানা গেছে, মাস খানেক দুবাইতে অবস্থান করবেন তিনি।
ইলিয়াস দুবাই গেলেও চুপ করে নেই সুবাহ। তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগের পাল্লা ভারি করছেন। ফেসবুকে সুবাহ লিখেছেন, ‘নিজের লড়াইটা নিজেই লড়ছি; দুমুঠো ভাত নিজের পেটে নিজে দিচ্ছি। আমাকে তো আর আপনারা বা অন্য কেউ এসে ভাত খাওয়াবে না তাইনা? সবাই একটা কথা পরিষ্কার করে জেনে রাখুন, আমি যতদিন বেঁচে আছি, নিজের প্রয়োজনে লাইভে আসতে বাধ্য যদি হতে হয়, তো আমি আবারও লাইভে আসব। এতে করে যদি নিজেকে সেভ করতে পারি তাহলে ক্ষতি কি?’
সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে সুবাহ লিখেছেন, ‘আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি দেখতে চাই ইলিয়াস হোসাইন কত বড় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি। তাকে কে কে সাহায্য করে! এবং সে আমার কী কী ক্ষতি করতে পারে। আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে ইলিয়াস হোসাইনের জন্য। আমি যেহেতু এখনও বেঁচে আছি, আমিও তার শেষ দেখে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। আমি তার বিচার চাই। তার সাথে কখনো কোনোদিন আর আমার বোঝাপড়া হবে না। আর যতই কেউ হুমকি-ধামকি দেয়, পা ধরে, আমি কখনই মামলা তুলে নেব না। এবং আমি মীমাংসায় যাবনা।’
নিজেকে নির্যাতনের শিকার দাবি করে সুবাহ লিখেছেন, ‘আমি শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতিত। পারলে কেউ হেল্প করুন। আর না হলে আমাকে কেউ খবরদার আর জ্ঞান দিতে আসবেন না, মীমাংসার বিষয়ে কথা বলতে আসবেন না।’
কেআই