সব কাজ বাদ দিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত কোনাল
২০০৯ সালে ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে দেশের সংগীতাঙ্গনে স্বপ্নের মতো আবির্ভাব সংগীতশিল্পী সোমনূর মনির কোনালের। এরপর ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন এই অঙ্গনের নির্ভরতার প্রতীক। নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও কিংবা মঞ্চ সব মাধ্যমেই এখন সাফল্যের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন এই গায়িকা।
কিন্তু তুমুল ব্যস্ত এই কোনাল হঠাৎ সব কাজ বাদ দিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলেন গবেষণায় কাজে! তার এই গবেষণা মূলত পড়ালেখাকে ঘিরে। তার মাস্টার্সের গবেষণার রেজাল্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত ৩০ ডিসেম্বর। পরে সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ জানুয়ারি। আর সে কারণেই ২০ ডিসেম্বর থেকে টানা গবেষণার কাজ করছেন। যার কারণে আপাতত অন্য সব কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে জনপ্রিয় এই শিল্পী বলেন, ‘গবেষণার কারণে আপাতত আমি সব ধরণের কাজ বন্ধ রেখেছি। গত ৬ মাস ধরে টানা গবেষণার কাজ করছি। আর ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে গবেষণার রেজাল্ট তৈরির জন্য অন্য সব কাজই বন্ধ রেখেছি।’
কোনাল আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার বেলায় আমি খুব সিরিয়াস। মাস্টার্সের ফলাফলটাও আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই খুব মন দিয়ে গবেষণার কাজটি করছি। এটা শেষ হলেই আবার পুরোদমে রেকর্ডিং, স্টেজ শো’সহ অন্যান্য কাজ শুরু করব।’
কোনাল মাস্টার্স করছেন ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে। তার গবেষণার বিষয় ৩ থেকে ৫ বছর বয়েসী শিশুদের সামাজিক-মানসিক বিকাশে সংগীতের ভূমিকা সম্পর্কে বাবা মায়ের উপলব্ধি।
উল্লেখ্য, এক যুগের ক্যারিয়ারে ‘আমি না দেখে তোমারে’, ‘স্বপ্নডানা’, ‘ঘুম জড়ানো দু চোখ মেলে’, ‘আগুন লাগাইলো’, ‘ভুল’, ‘তুমি আমার জীবন’, ‘মন ছুটে যায়’, ‘মেঘ’ ‘বন্ধু’সহ বেশ কিছু চমৎকার গান উপহার দিয়েছেন কোনাল।
আরআইজে