নানা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এর এমডি ও চেয়ারম্যান রয়েছেন কারাগারে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শোবিজ জগতের তিনজন তারকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ভোক্তা। তারা হলেন- তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।

এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যার ফলে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন মিথিলা ও ফারিয়া। তবে তাহসান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যায়নি।

এদিকে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নাট্য অঙ্গনের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। রোববার (১২ ডিসেম্বর) অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়াসহ সকল অভিনয়শিল্পীদের যেকোনো নৈতিক আন্দোলন ও সংকটে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে কিছু মানুষ নিজেকে আলোচনায় আনতে যেকোনো ঘটনাতেই শিল্পীদের সম্পৃক্ত করে নানান কথা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন এবং কেউ কেউ তাদের নামে মামলা পর্যন্ত করছেন। যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়, সেই সঙ্গে ভীষণ উদ্বেগজনকও। সারা পৃথিবীতেই শিল্পীরা অত্যন্ত সম্মানিত এবং মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ও অনুসরণীয়। তাই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারনায় শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। নির্দিষ্ট সম্মানির বিনিময়ে শিল্পীরা পণ্যের প্রচারে বিজ্ঞাপন ও নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পৃথিবী জুড়েই এটি একটি বৈধ লেনদেন। পণ্যের গুণগত দায় বা সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যেকোনো অনৈতিক লেনদেনের দায় কখনোই সেই প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত বা মডেলের নয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। সেই মামলা আসামির তালিকায় তাহসান,  মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার নাম আছে। এর মধ্যে দু’জন সেই প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত এবং একজন চাকরিজীবী ছিলেন। যিনি মামলাটি করেছেন তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে যখন লেনদেন করেছিলেন তখন এই শিল্পীরা ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তও ছিলেন না। শুধু নিজেকে আলোচিত করার জন্য এবং শিল্পীদের অসম্মানিত ও বিব্রত করতেই তাদের নাম সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিচারে যদি কেউ অপরাধী সাব্যস্ত হয় সে শাস্তি পাবে। কিন্তু শিল্পীদের নাম জড়িয়ে তাদের অহেতুক বিড়ম্বনা, বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা এবং তাদের সম্মানহানি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

কেআই