মাইকেল জ্যাকসনের ১৯৯২ সালের কনসার্ট নিয়ে নির্মিত হয় ডকুমেন্টারি ‘লিভিং নেভার‌ল্যান্ড’। ডকুমেন্টারিতে এই পপ সম্রাটকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। মাইকেল জ্যাকসন বেঁচে থাকতে তাঁর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়ছিল।

শিশু নির্যাতনের কয়েকটি চিত্র দেখানো হয় ডকুমেন্টারিতে। যার সত্তাধিকার এইচবিও নেটওয়ার্ক। ডকুমেন্টারির মধ্যে পপ সম্রাটকে হেয় করার জন্য এইচবিও নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে মামলা করে জ্যাকসন স্টেট। গত বছর ১০০ মিলিয়ন ডলারের এই মামলা দায়ের করা হয়।

১৪ ডিসেম্বর এইচবিও নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে মামলার রায় দেওয়া হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের পক্ষে। মামলার রায়ের পর এইচবিও নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ ডকুমেন্টারির একটি দৃশ্য

জ্যাকসন তত্ত্বাবধায়কদের দাবী করে বহু বছর আগে মীমাংসিত মিথ্যে এ ঘটনাটিকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসে চ্যানেলটি জ্যাকসনের সঙ্গে চুক্তি ভেঙেছে। ১৯৯২ সালে ‘বুখারেস্ট: দ্য ডেঞ্জারাস ট্যুর’ কনসার্টটি প্রচারের আগে এইচবিওর সঙ্গে মাইকেল জ্যাকসনের চুক্তি হয়। চুক্তির একটি ধারা ভেঙে এইচবিও জ্যাকসনকে নিয়ে বিতর্কিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ ও প্রচার করে।

গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। জ্যাকসনের তত্ত্বাবধায়কেরা ৫৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে, তথ্যচিত্রটি অপপ্রচার ও একপেশে। এক পক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে নির্মিত এ তথ্যচিত্র শিল্পীর সম্মানহানির উদ্দেশ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে।
এমনকি কোনো সত্যতাও নিশ্চিত করা হয়নি।