বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সিনেমাটির নাম ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা আয় করেছিল ২০ কোটি টাকারও বেশি। যেই রেকর্ড এখনো অব্দি ভাঙা সম্ভব হয়নি। এই সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জু ঘোষ। আশির দশকের শেষ ও নব্বই দশকের প্রথম ভাগে তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।

কিন্তু এখন স্বর্ণালী সেই সব দিন কেবলই অতীত। অঞ্জু ঘোষকে প্রায় ভুলতেই বসেছে সবাই। তাছাড়া তিনি নিজেও থাকেন না দেশে। বহু আগেই ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন।

কীভাবে কাটছে অঞ্জু ঘোষের জীবন? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল তার কাছ থেকেই। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন থাকলে মাঝে মধ্যে বাইরে যেতে হয়। তবে আমার কখনও মনে হয় না যে সময় কাটছে না। একটা বাড়ি দেখাশোনা করা, পরিষ্কার রাখাটাও অনেক সময়ের কাজ। এসব করছি। রান্নাবান্না করি। অনেক বেশি সময় কাটাই বাগানেই।’

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতে চলে যান অঞ্জু ঘোষ। এর ফাঁকে চলে গেছে দীর্ঘ ২৩টি বছর। মাঝে দু’একবার দেশে এসেছিলেন বটে। কিন্তু বেশিদিন থাকেননি। যদিও খুব বেশি পরিষ্কার করেন না, তবে প্রবল অভিমানেই তিনি দেশ ছেড়েছিলেন বলে জানা যায়।

বর্তমানে কলকাতার সল্টলেকে বসবাস করেন অঞ্জু ঘোষ। দেশ ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে এক বাক্যে তিনি বলে দেন, ‘এসব নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।’

উল্লেখ্য, অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তার জন্ম। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন। ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেন নাটকে।

১৯৮২ সালে এফ কবির চৌধুরীর ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে অঞ্জু ঘোষ সিনেমায় পা রাখেন। এরপর বাংলাদেশ ও কলকাতা মিলিয়ে কয়েক’শ সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন সেই ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র জন্যই।

কেআই