২০০৫ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান’ প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়ার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে রাজকীয় আবির্ভাব ঘটে মিজান মাহমুদ রাজীবের। এরপর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত গান গেয়ে যাচ্ছেন দরাজ কণ্ঠের এই গায়ক। সম্প্রতি রাজীব কণ্ঠ দিয়েছেন চারটি নতুন গানে। এগুলোর দুটি দেশাত্মবোধক, একটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে এবং অপরটি ভালোবাসার গান।

গত ১৫ নভেম্বর দেশাত্মবোধক গান ‘আমার প্রিয় দেশ’-এ কণ্ঠ দেন রাজীব। এটির কথা ও সুর করেছেন মাহবুবুল এ খালিদ। সংগীতায়োজনে রোমান রহমান ।

এরপর ১৭ নভেম্বর রাজীব রেকর্ডিং করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গান-‘ভয়কে করেছি জয়’। মেফতাউল করিমের কথায় এটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শান। এতে রাজীব ছাড়াও কণ্ঠ দিয়েছেন দিনাত জাহান মুন্নী, অনুপমা মুক্তি ও শান।

এর তিন দিন পর রাজীব ভয়েস দেন ‘ও আমার বাংলাদেশ’ শিরোনামে আরেকটি দেশাত্মবোধক গানে। এটির কথা ও সুর করেছেন সৈয়দ মইনুল হাসান। সংগীতায়োজনে সুজন আরিফ। গানটিতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন ঝিলিক, সুজন আরিফ ও সিঁথি সাহা।

সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর রাজীব গেয়েছেন একটি ভালোবাসার গান। এটির শিরোনাম ‘রুপালী চাঁদ’। জামাল হোসেনের কথায় এটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মুহিন খান। এটি প্রকাশিত হবে রঙ্গন মিউজিক থেকে।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে রাজীব বলেন, ‘দেশের গান গাইতে আমার সবসময়ই গাইতে ভালো লাগে। আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রেম দেশপ্রেম। বেতার, বিটিভিতেও নিয়মিত দেশাত্মবোধক গানে কণ্ঠ দিচ্ছি। এছাড়া অন্য যে গানগুলো করেছি, আশাকরি সবগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

রাজীব আরও যোগ করেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দুই বছর প্রধান আয়ের উৎস, স্টেজ শো বন্ধ ছিল। এ সময় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক মিউজিশিয়ান এবং শিল্পী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে পেশাও পরিবর্তন করেছেন। আবার অনেকেই খুব কষ্ট করে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন। এখন ধীরে ধীরে কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আশা করছি পুরোপুরিভাবে শুরু হবে এবং আগের মতই চলবে। যেহেতু করোনার প্রভাব একেবারে যায়নি তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে সব ধরনের কাজ করা।’

আরআইজে