বিশ্বব্যাপী নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে ঝড়ের গতিতে। বৈশ্বিক মহামারিতে একদিকে ডুবেছে সিনেমার ব্যবসা, অন্যদিকে বেড়েছে নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যা। করোনাকালে নেটফ্লিক্স পেয়েছে ১৬ মিলিয়ন গ্রাহক। এই সাফল্য দেখেই মূলত বিভিন্ন দেশের সিনেমায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ওটিটি প্লাটফর্মটি। কিছুদিন আগে ঘোষণা আসে কোরিয়ান কন্টেন্ট কিনতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে তারা। 

এবার এলো মেক্সিকান সিনেমায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের খবর। ২০২১ সালে মেক্সিকোর ৫০টি সিনেমার জন্য এই বিনিয়োগ করছে নেটফ্লিক্স। ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক খবরে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক কন্টেন্ট নয়, মেক্সিকোর স্থানীয় কন্টেন্টের জন্যও প্রযোজনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। 

২০২০ সালে মেক্সিকান কন্টেন্টের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল নেটফ্লিক্স। তার ব্যাপক সাড়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় এ বছর ৫০ শতাংশ বেশি লগ্নি করা হবে। শুধু তাই নয়, সেখানে বসানো হচ্ছে নেটফ্লিক্সের স্থানীয় কার্যালয়। যা হবে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর প্রধান কার্যালয়।

নেটফ্লিক্স জানায়, এ বছর উত্তর আমেরিকার প্রধান কার্যালয় খোলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তারা। কাজও শেষ করা হবে খুব দ্রুত। যেখানে নিয়োগ দেওয়া হবে শতাধিক কর্মকর্তা। 

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মেক্সিকোতে এই কার্যক্রম শুরু করে নেটফ্লিক্স। তারা ফোর্বসকে জানায়, চলতি বছর সিরিজ ছাড়া অন্যান্য কনটেন্টের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেসব কন্টেন্টের মধ্যে থাকবে কমেডি, অ্যাডভেঞ্চার ও অ্যাকশন ঘরানা। এছাড়া তৈরি করা হবে প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি। এমনকি মেক্সিকো থেকেই এসব কনটেন্টের টাইটেল দেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্কটসে নেটফ্লিক্স যাত্রা শুরু করে। রিড হাস্টিংস ও মার্ক র‌্যানডলফ নামে দুই ব্যক্তি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর প্রধান নির্বাহী টেড সারান্দোস। বিশ্বব্যাপী তাদের গ্রাহকের সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন। এরমধ্যে ৭ মিলিয়নই মেক্সিকোর। 

এইচএকে/এমআরএম/আরআইজে/