কলকাতার জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক অনুপম রায়ের সংসার ভেঙে গেছে। ছয় বছরের দাম্পত্যের ইতি টেনে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈবাহিক নয়, আগামীর দিনগুলো বন্ধুত্বেই পার করতে চান বলে জানিয়েছেন এই সংগীত তারকা।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুপম রায় ও পিয়া দু’জনের যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই নানা আলোচনা, গুঞ্জন শুরু হয়েছে টালিউডে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জির সঙ্গে পিয়ার পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই নাকি ভেঙেছে এই সংসার।

পিয়ার সঙ্গে পরমব্রতর পরকীয়ার কথা জানার পরই বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন অনুপম রায়। এ বিষয়ে ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তন্ময় ঘোষের সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এই মঞ্চেই যোগ দিয়েছিলেন অনুপম রায়, পরমব্রত চ্যাটার্জি, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা ব্যানার্জি, ঋতব্রত মুখার্জিসহ একঝাঁক তারকা। তারা মিলেই গঠন করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’। সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন পিয়া চক্রবর্তীও।

আরও পড়ুন : মা হওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই আগের রূপে নুসরাত

এরপরই পরমব্রতর সঙ্গে পিয়ার আলাপচারিতা বাড়ে। গত ২৭ জুন ছিল পরমব্রতর জন্মদিন। ওই দিন অভিনেতার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে পিয়া লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন। আমরা আরো অনেক স্মৃতি তৈরি করব।’

পিয়ার কথাটির অর্থ আরও পরিষ্কার হয় গত ১৬ আগস্ট। কারণ ওই দিন ছিল পিয়ার জন্মদিন। সেদিন পরমব্রত একটি ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন বন্ধু। কমরেড, ভরসার মানুষ। চলো, অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি তৈরি করি। ঠিক যেমনটা তুমি চেয়েছিলে।’

আরও পড়ুন : ৫২ কোটি টাকা বেতন, শাহরুখের ম্যানেজার পূজা আসলে কী করেন?

পরমব্রত-পিয়ার এই ঘনিষ্ঠতা থেকেই পরকীয়ার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা এই গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছে। পশ্চিমবঙ্গের ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে ৯ সদস্যের এক কমিটি। এ কমিটির প্রধান পরমব্রত। সম্প্রতি তাতে যোগ দিয়েছেন পিয়াও। তাই দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছে অনেকেই।

যদিও কেউ কেউ মনে করেন, পরমব্রত ও পিয়া চক্রবর্তীর মধ্যে আগে থেকেই বন্ধুত্ব ছিল। তারা কেবলই বন্ধু। এর বাইরে কোনো সম্পর্ক নেই। অনুপম রায়, পিয়া কিংবা পরমব্রত কারো পক্ষ থেকে এখনো এসব গুঞ্জন নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কেআই